সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রামায়ণে বনবাসে থাকা শ্রীরামচন্দ্রের পাদুকা বহন করে এনে তাই-ই অযোধ্যার সিংহাসনে বসিয়েছিলেন ভাই ভরত। আর কলিযুগে যখন অযোধ্যায় নতুন করে রামমন্দির স্থাপিত হচ্ছে, তখন এক ভরতের আবির্ভাব ঘটবে না, তাও কি সম্ভব? সেই ভরতেরই এবার সন্ধান মিলল। যিনি পায়ে হেঁটে দীর্ঘ পথ অতিক্রম করে ‘রামের পাদুকা’ পৌঁছে দিতে আসছেন রামমন্দিরে।
আগামী ২২ জানুয়ারি রামমন্দিরের উদ্বোধনকে ঘিরে সাজসাজ রব। দূর-দূরান্ত থেকে ভক্তরা ভিড় জমাতে শুরু করছেন অযোধ্যায়। যদিও উদ্বোধনের দিন সে শহরে পর্যটকদের দূরে থাকার আর্জিই জানাচ্ছে শ্রীরামচন্দ্র তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্ট। তবে উদ্বোধনের আগেই কোটি টাকার পাদুকা নিয়ে অযোধ্যা পৌঁছে যাবেন হায়দরাবাদের বাসিন্দা চার্লা শ্রীনিবাস শাস্ত্রী। নিজামের শহর থেকে পায়ে হেঁটে ১৩০০ কিলোমিটার হেঁটে পাড়ি দিয়েছেন তিনি। মাথায় ১ কোটি ২০ লক্ষ টাকার সোনার পাদুকা! ২২ তারিখের আগেই অযোধ্যা পৌঁছে এই স্বর্ণ পাদুকা উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের হাতে তুলে দেবেন বর্তমান যুগের ‘ভরত’ শ্রীনিবাস।
[আরও পড়ুন: ১৬ ঘণ্টার ম্যারাথন তল্লাশি ইডির, গভীর রাতে গ্রেপ্তার বনগাঁর প্রাক্তন পুরপ্রধান শংকর আঢ্য]
হায়দরাবাদের অযোধ্যা ভাগ্যনগরম সীতারাম সেবা ট্রাস্ট ফাউন্ডেশনের ডিরেক্টর পদে রয়েছেন শ্রীনিবাস। গত ২৮ ডিসেম্বর অন্ধ্রপ্রদেশের পূর্ব গোদাবরী জেলার ভেদুরপাকা নামের একটি গ্রাম থেকে পাদুকা নিয়ে যাত্রা শুরু করেছেন তিনি। তাঁর সঙ্গে আসছেন আরও ২০ ভক্ত। আগামী ১৩ জানুয়ারির মধ্যে অযোধ্যা পৌঁছে যাওয়ার কথা তাঁর।
আট কেজি করে মোট ১৬ কেজি রুপো দিয়ে তৈরি এই দুই পাদুকা। যার সম্পূর্ণ সোনায় মুড়ে দেওয়া। ফলে এক-একটি পাদুকার ওজন হয়ে দাঁড়িয়েছে সাড়ে ১২ কেজি। এই ভারী পাদুকা নিয়ে রোজ প্রায় ৩৮ কিমি পথ অতিক্রম করছেন তিনি। শ্রীনিবাস জানিয়েছেন, ইতিমধ্যেই যোগী আদিত্যনাথের সঙ্গে কথা হয়েছে তাঁর। মুখ্যমন্ত্রী আশ্বাস দিয়েছেন, এই পাদুকা জোড়া রামমন্দিরে প্রতিষ্ঠার অনুমতি দেওয়া হবে।
[আরও পড়ুন: স্বাস্থ্যসাথীর থেকেও ৬২% কম, নামমাত্র খরচে সিটি স্ক্যানের ব্যবস্থা করল কলকাতা পুরসভা]
তবে শুধুই পাদুকা নয়, এর আগে রামমন্দিরের জন্য আড়াই কেজি করে পাঁচটি রুপোর ইট দিয়েছিলেন তিনি। যা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি রামমন্দিরের শিলান্যাস অনুষ্ঠানে ব্যবহার করেছিলেন।