সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রথমে শিব সেনা, এবার কি লোক জনশক্তি পার্টি? লোকসভা নির্বাচনের আগে আবারও কি জোটসঙ্গী খোয়াতে চলেছে এনডিএ? শুক্রবার, যে ভাষায় কেন্দ্রের ক্ষমতায় থাকা বিজেপি সরকারের সমালোচনা করেছেন রামবিলাস পালোয়ানের পুত্র চিরাগ পালোয়ান, তারপর থেকে এই জল্পনাই ঘুরপাক খাচ্ছে জাতীয় রাজনৈতিক মহলে। কার্যত হুমকির সুরে তিনি দাবি তুলেছেন, তফসিলি জাতি-উপজাতি আইনের পুরনো নিয়ম ফিরিয়ে আনতে হবে। প্রয়োজনে অর্ডিন্যান্স আনুক কেন্দ্রীয় সরকার অথবা ৭ আগস্ট লোকসভার অধিবেশনে বিল পাশ করুক। অন্যথায়, ৯ আগস্ট থেকে বিশাল দলিত বিক্ষোভের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি।
[ফের উপত্যকায় অপহৃত পুলিশ আধিকারিক, নিখোঁজের সন্ধানে জারি তল্লাশি]
এখানেই শেষ নয়, কেন্দ্রের ক্ষমতায় থাকা এনডিএ সরকারকে বিশ্বাসঘাতক আখ্যা দিতেও ছাড়েননি কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর পুত্র। হুঁশিয়ারি দিয়ে জানিয়েছেন, কেন্দ্রের গেরুয়া সরকারের উপর থেকে ধৈর্য হারিয়ে ফেলেছে দেশবাসী। ইঙ্গিত দিয়েছেন, এবার মানুষ শেষ কথা বলবে। আর পাসোয়ান পুত্রের এই চড়া সুরেই আশঙ্কার কালো মেঘ দেখতে সুরু করেছে রাজনৈতিক মহল। তাঁদের দাবি, ভারতীয় রাজনীতিতে বরাবরই ‘হাওয়া মোরগ’ হিসাবে পরিচিত রামবিলাস পাসোয়ান। কখনও ইউপিএ বা কখনও এনডিএ-র সঙ্গে জোট করে, ১৯৯৬-এর পর থেকে পাঁচটি সরকারে মন্ত্রিসভার সদস্য হয়েছেন তিনি। এমতঅবস্থায়, তাঁর ছেলের গলাতেই মোদি বিরোধী সুর চড়তে থাকায় জল্পনা শুরু হয়েছে বিভিন্ন মহলে।
[জানালাহীন খুপরি ঘরই ছিল আশ্রয়, অনাহারে শিশুমৃত্যুর ঘটনায় সামনে এল মর্মান্তিক তথ্য]
প্রসঙ্গত, মহারাষ্ট্রে জোটসঙ্গী থাকলেও আসন্ন লোকসভায় তারা বিজেপির সঙ্গে জোটে থাকবেন না। স্পষ্ট ভাষায় একথা জানিয়ে দিয়েছেন শিব সেনা প্রধান উদ্ভব ঠাকরে। এমনকি বিজেপি বিরোধীতাই এখন প্রধান হয়ে উঠেছে তাঁদের। কংগ্রেস, তৃণমূলের সুরে সুর মিলিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সরকারের বিরুদ্ধে কার্যত খড়গহস্ত তারা। চলতি লোকসভা অধিবেশনে বিরোধীদের আনা অনাস্থা প্রস্তাব প্রথমে বিজেপির পক্ষে ভোট দেওয়ার কথা থাকলেও, অন্তিম মুহূর্তে সংসদ থেকে ওয়াকআউট করে সেনা সাংসদরা। একইভাবে মাঝে মাঝেই উলটো সুর শোনা যাচ্ছে বিহারের মুখ্যমন্ত্রী তথা জেডি (ইউ) প্রধান নীতীশ কুমারের গলাতেও। এমতঅবস্থায় রামবিলাস পাসোয়ানও বিজেপির সঙ্গত্যাগ করলে লোকসভা নির্বাচনের গেরুয়া শিবির যে প্রবল ভাবে চাপের মধ্যে পড়তে তা অস্বীকার করছেন না রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।