নন্দন দত্ত, সিউড়ি: বগটুই কাণ্ডে (Bogtui Incident) আরও বাড়ল মৃতের সংখ্যা। রবিবার সকালে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়লেন অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় চিকিৎসাধীন আতাহারা বিবি। ফলে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে হল ১০।
ঘটনার সূত্রপাত ২১ মার্চ। ওইদিন প্রথমে ১৪ নম্বর জাতীয় সড়কের ধারে রামপুরহাট বগটুই মোড়ে বোমা মেরে খুন করা হয় বড়শাল গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান ভাদু শেখকে। এরপরই উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে গ্রামে। ওই ঘটনার জেরে বগটুই গ্রামে ১০ টি বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ ওঠে। পরদিন সকালে আটজনের দগ্ধ দেহ উদ্ধার করা হয়। হাসপাতালে ভরতি ছিলেন কয়েকজন। দিন কয়েক পর রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে মৃত্যু হয় দগ্ধ এক মহিলার। সেই থেকে হাসপাতালে ভরতি ছিলেন আতাহারা বিবি। তাঁর শরীরের ২৭ শতাংশ পুড়ে গিয়েছিল বলে সূত্রের খবর। মাঝে হাসপাতাল থেকে ছাড়াও পেয়েছিলেন। পরবর্তীতে অবস্থার অবনতি হওয়ায় ফের হাসপাতালে ভরতি করা হয় তাঁকে। রবিবার ভোরে রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে মৃত্যু হল আতাহারা বিবির।
[আরও পড়ুন: বচসার জের, অটোচালকের চোখে লঙ্কাগুঁড়ো ছুঁড়লেন মহিলা, কামারহাটিতে চাঞ্চল্য]
উল্লেখ্য, বগটুই কাণ্ড নিয়ে তোলপাড় গোটা বাংলা। ইতিমধ্যেই ঘটনার তদন্তভার পেয়েছে সিবিআই। আধিকারিকরা ঘটনাস্থলে গিয়ে তদন্ত চালাচ্ছেন। এরই মাঝে সম্প্রতি এই ঘটনার জন্য পুলিশকে দায়ী করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। দিন কয়েক আগে পুলিশ সুপারকে তীব্র ভর্ৎসনা করে তিনি বলেন, “কোথাও কিছু হলে প্রত্যাঘাত তো হবে। যদি ডিএসপি সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে যেতেন তাহলে এটা হত না। রামপুরহাটে (Rampurhat) অনেক ভুল হয়েছে। তার খেসারত দিতে হয়েছে সরকারকে।”
বগটুই কাণ্ডে নিহতদের পরিবারের সদস্যদের চাকরি দেওয়া হয়েছে। রাজ্যের তরফে ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য আর্থিক সাহায্যের কথাও ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। বেআইনিভাবে আর্থিক সাহায্য এবং চাকরি দেওয়া হয়েছে বলেও দাবি বিরোধীদের। তার জল গড়িয়েছে হাই কোর্টেও (Calcutta High Court)। তা নিয়েও এদিন উষ্মাপ্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, “আমি আমার থেকে চাকরি দিয়েছি। কারও থেকে না। আমাদের দেখে শেখা উচিত। ঘুষ লুকিয়ে দিলে হয়। আমরা লুকিয়ে কাউকে কিছু দিইনি।”