বাংলা: ৩১২ ও ১৬১ (সুদীপ চট্টোপাধ্যায় ৪৫, অনুষ্টুপ মজুমদার ৪১, মিঠুন ৪-২৩)
কর্নাটক: ১২২ ও ১৭৭ (পাড়িক্কল ৬২, অভিমণ্যু মিঠুন ৩৮, মুকেশ কুমার ৬-৬১)
বাংলা ১৭৪ রানে জয়ী।
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: তৃতীয়বার রনজি ট্রফি জয়ের হাতছানি। ইডেন গার্ডেন্সে ইতিহাস গড়ল অরুণ লালের (Arun Lal) বাংলা। সেমিফাইনালে শক্তিশালী কর্ণাটককে হারিয়ে রনজি ট্রফির ফাইনালে উঠলেন অনুষ্টুপ মজুমদার, ইশান পোড়েলরা। শেষবার ২০০৭-০৮ সালে ঘরোয়া টুর্নামেন্টের ফাইনালে খেলেছিল বাংলা দল। শেষবার রনজি ট্রফি (Ranji Trophy) জিতেছিল ৩০ বছর আগে। সেই ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি করার দুর্দান্ত সুযোগ চলে এল বাংলা দলের কাছে।
কোচ অরুণ লালের এই বাংলা যে অন্যরকম তা বোঝা গিয়েছিল গ্রুপ পর্বেই। ঈশান পোড়েল, অভিমণ্যু ঈশ্বরণদের পাশাপাশি অভিজ্ঞ মনোজ তিওয়ারি, অনুষ্টুপ মজুমদাররাও দুর্দান্ত খেলছিলেন। তবে, সেমিফাইনালের প্রতিপক্ষ ছিল টুর্নামেন্টের অন্যতম সেরা দল। যে দলে লোকেশ রাহুল, করুণ নায়ার, মণীশ পাণ্ডে, প্রসিদ্ধ কৃষ্ণা, অভিমণ্যু মিঠুনদের মতো তারকারা খেলেন। এ হেন কর্ণাটককে ফুঁৎকারে উড়িয়ে দিলেন ঈশান পোড়েলরা। আর এই জয়ের নায়ক মূলত চারজন। অনুষ্টুপ মজুমদার না থাকলে বাংলার ইডেন সেমিফাইনালে জেতা হত না। প্রথম ইনিংসে ১৪৯ নটআউটের পর দ্বিতীয় ইনিংসে গুরুত্বপূর্ণ ৪১। টিমের দ্বিতীয় দফায় তোলা ১৬১ রানের চল্লিশ শতাংশই অনুষ্টুপের। ঠিক একই রকম ভাবে মনোজ তিওয়ারির কাছেও কৃতজ্ঞ থাকতে পারে বাংলা। ব্যাটসম্যান তিওয়ারি (Manoj Tiwary) নয়। ক্যাপ্টেন তিওয়ারির কাছে। বাংলা অধিনায়ক হিসেবে টিমলিস্টে যাঁর নাম লেখা থাকে, সেই অভিমন্যু ঈশ্বরণের কাজ হল মাঠে অধিকাংশ সময় চিত্রার্পিতের মতো দাঁড়িয়ে থাকা। গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত সবই নিয়েছেন মনোজ।
[আরও পড়ুন: ওয়ানডে’র পর টেস্ট সিরিজেও হোয়াইটওয়াশ, লজ্জার হার থেকে শিক্ষা নিতে চান বিরাট]
এবার আসা যাক বোলারদের কথায়। প্রথম ইনিংসে কর্ণাটকের ইনিংসে ভাঙন ধরিয়েছিলেন ঈশান পোড়েল। তাঁর পাঁচ উইকেটের বিধ্বংসী স্পেলের সৌজন্যেই বাংলার ৩২১ রানের জবাবে মাত্র ১২২-এ শেষ হয় কর্ণাটক। আর দ্বিতীয় ইনিংসে বাংলার ১৬১ রানের জবাবে ভাল পজিশন থেকেও ১৭৭ রানে আউট হল কর্ণাটক। এবারে নায়ক মুকেশ কুমার। তিনি একাই নিলেন ৬ উইকেট। ফলে রনজি ট্রফির সেমিফাইনালে বাংলা জিতল ১৭৪ রানে।
The post ইডেনে কর্ণাটকের বিরুদ্ধে দুর্দান্ত জয়, ১৩ বছর পর রনজি ফাইনালে বাংলা appeared first on Sangbad Pratidin.