সৌরাষ্ট্র: ৪২৫
বাংলা: ৩৫৪-৬ (সুদীপ ৮১, ঋদ্ধিমান ৬৪)
বাংলা ৭১ রানে পিছিয়ে
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রতিকূল পরিস্থিতি, জঘন্য পিচ, তার উপরে রানের পাহাড়। কিন্তু, এতকিছুতেই যেন দমছে না বাংলা। সৌরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে কঠিন লড়াইয়েও হার মানতে নারাজ ঋদ্ধিমান সাহা, অনুষ্টুপ মজুমদার অর্ণব নন্দীরা। ব্যাটসম্যানদের লড়াকু মানসিকতাই রনজি (Ranji Trophy) ফাইনালে নতুন করে স্বপ্ন দেখাচ্ছে বাংলাকে। ফাইনালের চতুর্থ দিনের শেষে যা পরিস্থিতি তাতে অনুষ্টুপরা যদি এভাবে লড়াই চালিয়ে যেতে পারেন, তাহলে ৩০ বছর পর বাংলায় রনজি ট্রফি এলে অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না। কিন্তু, সেই স্বপ্ন পূরণের জন্য অনুষ্টুপ এবং অর্ণবের ক্রিজে থাকা জরুরি।
রাজকোটের স্লো এবং লো পিচে সৌরাষ্ট্রের ৪২৫ রানের জবাবে তৃতীয় দিনের শেষে বাংলার স্কোর ছিল ৩ উইকেটে ১৩৪ রান। বাংলা পিছিয়ে ছিল ২৯১ রানে। তৃতীয় দিনের দুই অপরাজিত ব্যাটসম্যান সুদীপ চট্টোপাধ্যায় এবং ঋদ্ধিমান সাহা। তৃতীয় দিনের মতোই ধীরে ধীরে সৌরাষ্ট্রের বোলারদের মোকাবিলা করছিলেন সুদীপ এবং ঋদ্ধি। অঘটন ঘটে দলীয় ২২৫ রানের মাথায়। ৮১ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলে প্যাভিলিয়নে ফেরেন সুদীপ। সুদীপ আউট হওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যে আউট হয়ে যান ঋদ্ধিমান সাহা এবং শাহবাজ আহমেদও। ২৬৩ রানে ৬ উইকেট খুইয়ে চাপে পড়ে যায় বাংলা দল।
[আরও পড়ুন: করোনা আতঙ্কের জেরে দর্শকশূন্য স্টেডিয়ামে ইস্ট-মোহন ডার্বি! অনিশ্চিত আইপিএলও]
কঠিন পরিস্থিতিতে দলের হাল ধরেন সেমিফাইনালের নায়ক অনুষ্টুপ মজুমদার এবং অর্ণব নন্দী। সপ্তম উইকেটের জন্য ৯১ রানের জুটি করেন তাঁরা। দিনের শেষে অনুষ্টুপ ৫৮ এবং অর্ণব ২৮ রানে অপরাজিত আছেন। চতুর্থ দিনের শেষে বাংলার স্কোর ৬ উইকেটে ৩৫৪ রান। আর ৭২ রান করতে পারলেই প্রথম ইনিংসে লিড পেয়ে যাবে বাংলা। তাতেই একপ্রকার নিশ্চিত হয়ে যাবে ৩০ বছর পর রনজি জয়। কিন্তু, সেজন্য অনুষ্টুপ এবং অর্ণবের ক্রিজে থাকা অত্যন্ত জরুরি। আর কিছুটা লড়াই করলেই স্বপ্ন পূরণের কাছাকাছি চলে যেতে পারে বাংলা দল।
The post মাটি কামড়ে লড়ছেন অনুষ্টুপ-অর্ণব, রনজি ফাইনালে ঘুরে দাঁড়ানোর স্বপ্ন বাংলার appeared first on Sangbad Pratidin.