সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নতুন বছরের ৫ জানুয়ারির সকালটা আজীবন ভুলতে পারবে না ১২ বছরের ছোট্ট ছেলেটা। পাটনার মইনুল হক স্টেডিয়ামের বাইশ গজে এক উঠতি প্রতিভার রনজি অভিষেক ঘটল। নাম বৈভব সূর্যবংশী (Vaibhav Suryavanshi)। মুম্বইয়ের (Mumbai) বিরুদ্ধে মাত্র ১২ বছর ২৮৪ দিন বয়সে রনজি ট্রফিতে অভিষেক ঘটাল বিহারের (Bihar) এই ছোটখাটো চেহেরার মারকুটে ব্যাটার।
১৯৮৮ সালের ১১ ডিসেম্বর। ১৫ বছর ২৩২ দিন বয়সে রনজি ট্রফিতে (Ranji Trophy) অভিষেক ঘটিয়েছিলেন শচীন তেণ্ডুলকর (Sachin Tendulkar)। মুম্বইয়ের জার্সি গায়ে চাপিয়ে সেই ম্যাচে গুজরাটের (Gujarat) বিরুদ্ধে নেমেছিলেন ‘আধুনিক ক্রিকেটের ডন’। এবার মাস্টার ব্লাস্টারকে ছাপিয়ে গেল বৈভব। একইসঙ্গে এদিন আরও একটি নজির গড়ল এই ছেলেটি। বৈভব হল ভারতের চতুর্থ কনিষ্ঠ ক্রিকেটার যে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে অভিষেক ঘটাল। রনজি ট্রফিতে খেলতে নামার আগে ভারত অনূর্ধ্ব ১৯ এ, ভারত অনূর্ধ্ব ১৯ বি দলের হয়েও খেলেছে এই বিস্ময় বালক।
[আরও পড়ুন: ক্রিকেটীয় স্পিরিট মেনে ডিন এলগারকে সম্মান জানাল রোহিত-বিরাটের টিম ইন্ডিয়া]
যদিও প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে সবচেয়ে কম বয়সে অভিষেক ঘটানো ভারতীয় ক্রিকেটার হলেন আলিমুদ্দিন। ১৯৪২-৪৩ মরশুমে রনজি ট্রফির সেমিফাইনালে বরোদার বিরুদ্ধে অভিষেক ঘটিয়েছিলেন তিনি। তখন তাঁর বয়স ছিল ১২ বছর ৭৩ দিন। আলিমুদ্দিন সেই সময় রাজপুতানার হয়ে মাঠে নেমেছিলেন। তবে দেশ ভাগ হয়ে যাওয়ার পর পাকিস্তানে চলে যান। গিনেস বুকে নাম তোলা এই রেকর্ড এখনও অক্ষত।
এই তালিকায় দ্বিতীয় নাম হল সমরণ কুমার বোস। যিনি ভারতীয় ক্রিকেটে এসকে বোস নামেই খ্যাত। ১৯৫৯-৬০ মরশুমে বিহারের হয়ে রনজি ট্রফিতে অভিষেক ঘটান এই অলরাউন্ডার। অসমের বিরুদ্ধে মাঠে নামার সময় তাঁর বয়স ছিল ১২ বছর ৭৬ দিন।
এর আগে ১৯৩৭ সালে মাত্র ১২ বছর ২৪৭ দিনে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে মহম্মদ রমজানের অভিষেক হয়েছিল। রনজি ট্রফির সেই ম্যাচে নর্দান ইন্ডিয়ার হয়ে মাঠে নেমেছিলেন মহম্মদ রমজান। প্রতিপক্ষ ছিল ইউনাইটেড প্রভিন্স।
এছাড়া ১৩ বছরে পা দেওয়ার আগে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট খেলে ফেলা আরও নয় জন ক্রিকেটার রয়েছেন। আকিব জাভেদ (১৯৮৪-৮৫), মহম্মদ আক্রম (১৯৬৮-৬৯), রিজওয়ান সাত্তার (১৯৮৫-৮৬), সলিমুদ্দিন (১৯৫৪-৫৫), কাসিম ফিরোজি (১৯৭০-৭১)।
রনজি ট্রফিতে অভিষেক ঘটানোর আগে চলতি বছর বিহারের হয়েই কোচবিহার ট্রফি খেলতে নেমেছিল বৈভব। ঝাড়খণ্ডের বিরুদ্ধে মাত্র ১২৮ বলে ১৫১ রান করেছিল ছেলেটি। ওর ইনিংস ২২টি চার ও ৩টি ছক্কা দিয়ে সাজানো ছিল। সেই ম্যাচের দ্বিতীয় ইনিংসে আবার বৈভবের ব্যাট থেকে এসেছিল ৭৬।