কেরল, প্রথম ইনিংস: ৩৬৩ (শচীন ১২৪, অক্ষয় ১০৬, শাহবাজ ৪/৭৩)
বাংলা, প্রথম ইনিংস: ১৮০ (অভিমন্যু ৭২, করণ ৩৫, জলজ সাক্সেনা ৯/৬৮)
কেরল, দ্বিতীয় ইনিংস: ২৬৫/৬ (রোহন ৫১, শচীন ৫১, শ্রেয়স গোপাল ৫০*, শাহবাজ ৩/৮০)
বাংলা, দ্বিতীয় ইনিংস: ৩৩৯ (শাহবাজ ৮০, অভিমন্যু ৬৫, করণ ৪০, জলজ ৪/১০৪, বাসিল থাম্পি ২/৮, শ্রেয়স ২/৯৬)
কেরল ১০৯ রানে জয়ী
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: হার নিশ্চিত ছিল। আর তাই হল। কামব্যাক ম্যাচে ব্যাটে-বলে একা লড়লেন শাহবাজ আহমেদ (Shahbaz Ahmed)। দুই ইনিংসে অর্ধ শতরান করে কিছুটা প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা করেছিলেন অভিমন্যু ইশ্বরণ (Abhimanyu Easwaran)। তবুও হার আটকানো গেল না। দুই ইনিংসে বাংলার (Bengal) ব্যাটিংকে একাই বুঝে নিলেন জলজ সাক্সেনা (Jalaj Saxena)। ব্যাটে দুই ইনিংসে করেছিলেন ৪০ ও ৩৭ রান। এর পাশাপাশি দুই ইনিংসে ১৭২ রানে মোট ১৩টি উইকেট নিলেন কেরলের (Kerala) অভিজ্ঞ অলরাউন্ডার।
তাই ফল যা হওয়ার তাই হল। ফলে ৪৪৮ রান তাড়া করতে নেমে দ্বিতীয় ইনিংসে ৩৩৯ রানে অলআউট হতেই, কেরলের কাছে ১০৯ রানে লজ্জার হার হজম করল বাংলা। বাংলার প্রথম ইনিংস মাত্র ১৮০ রানে গুটিয়ে যায়। দ্বিতীয় ইনিংসেও জলজ, বাসিল থাম্পি ও শ্রেয়স গোপালের বোলিংয়ের কাছে দাঁড়াতেই পারলেন না মনোজ তিওয়ারি (Manoj Tiwary)-অনুষ্টুপ মজুমদারের (Anustup Majumdar) মতো অভিজ্ঞ ব্যাটার। আর এই হারের সঙ্গে চলতি রনজি ট্রফির (Ranji Trophy 2023-24) লিগ পর্ব থেকে মনোজের বঙ্গ ব্রিগেডের বিদায় নিশ্চিত হয়ে গেল।
তৃতীয় দিনের শেষে ৩৩ রানে অপরাজিত ছিলেন অভিমন্যু। এদিন তাঁর সঙ্গে শুরু থেকেই ক্রিজে ছিলেন অনুষ্টুপ। প্রথম ইনিংসের পর এবারও ব্যর্থ বাংলার ‘রান মেশিন’ রুকু। জলজ সাক্সেনার বলে ১৬ রানে আউট হলেন। মনোজকেও ফেরালেন সেই জলজ। দুই ইনিংসেই মনোজ-অনুষ্টুপের মতো বহু যুদ্ধের নায়কদের আউট করেন অভিজ্ঞ অলরাউন্ডার জলজ। সেখানেই হার নিশ্চিত হয়ে যায়। এর পর লাঞ্চের কিছুক্ষণ আগে বাংলা শিবিরকে আরও একবার ধাক্কা দেন জলজ। এবার তাঁর শিকার ছিলেন অভিমন্যু। প্রথম ইনিংসে ৭২ রান করার পর এবার তাঁর ব্যাট থেকে এল ৬৫ রান। এবং কাকতালীয় ভাবে দুই ইনিংসেই তাঁকে আউট করেন সেই জলজ।
[আরও পড়ুন: কোহলির না থাকা ভারত-ইংল্যান্ড সিরিজের জন্য বিরাট ক্ষতি, বলছেন ইংল্যান্ডের প্রাক্তন তারকা]
অভিষেক পোড়েল ব্যাট করতে নেমে আক্রমণাত্মক শট খেলা শুরু করেন। মাত্র ১৮ বলে ২৮ রান করলেও টিকে থাকতে পারলেন না অভিষেক। শ্রেয়স গোপালের বলে আউট হয়ে গেলেন। সেই সময় বাংলার রান ছিল ৫ উইকেটে ২১৭। মনোজ ৩২ ও শাহবাজ আহমেদ ২১ রানে ব্যাট করছিলেন। তখনও জিততে ২৩২ রান দরকার ছিল বাংলার। বিরতির পরেই মনোজ ৩৫ রানে আউট হয়ে যান। তখন মনে হচ্ছিল আর বেশি ক্ষণ টিকে থাকতে পারবে না বাংলা। কিন্তু শাহবাজ লড়াই শুরু করেন।
এর পর সপ্তম উইকেটে শাহবাজ ও করণের মধ্যে ৮৩ রান যোগ করেন। তবে এতে লাভ হয়নি। কারণ শাহবাজ ৮০ রান করে আউট হন। কেরল ১০৯ রানে ম্যাচ জিতে যায়। ১৬ ফেব্রুয়ারি থেকে ঘরের মাঠ ইডেন গার্ডেন্সে বিহারের বিরুদ্ধে নামবে বাংলা। নিয়মরক্ষার সেই ম্যাচ আবার মনোজের প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট কেরিয়ারের শেষ ম্যাচ।