বাংলা: ২৮৬ ও ৮৬ (২৪.৪)
দিল্লি: ৩৯৮
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নবদীপ অমরজিত সাইনি। এই নামটাই বাংলা ব্যাটিং অর্ডারের ত্রাস হয়ে উঠল। এই নামটাই বাংলার রণজি জয়ের স্বপ্নে এবারের মতো ইতি টানল। কারণ এই নামটাই হয়ে উঠল সাতটি উইকেটের মালিক।
সেমিফাইনালে বাংলা শুধু হারলই না, গৌতম গম্ভীরের দলের বিরুদ্ধে এক ইনিংসে সর্বনিম্ন রান করে লজ্জায় মাথা হেঁট হল মনোজ তিওয়ারিদের। দিল্লির বিরুদ্ধে এর আগে কখনও বাংলা এতো কম রানে অলডাউন হয়নি। তৃতীয় দিনের লড়াইয়ের আগে মনোজদের তাতানোর দায়িত্ব নিয়েছিলেন স্বয়ং সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। কীভাবে ২০০১ সালে স্টিভ ওয়ার অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ইডেনে রুখে দাঁড়িয়ে জয় হাসিল করেছিল সৌরভের টিম ইন্ডিয়া। সেই ছবিই আবার ফেরানোর উৎসাহ দিচ্ছিলেন দিন্দা, শামিকে। কিন্তু শেষমেশ তাঁর পেপ-টকও কাজে এল না। সাইনি ও খেজরোলিয়ার কাছে অসহায় আত্মসমর্পণ করল বাংলার ব্যাটিং লাইন-আপ। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ২১ রান করেন সুদীপ চট্টোপাধ্যায়। অভিমন্যু ঈশ্বরণ, মনোজ, শ্রীবৎস গোস্বামী সকলেই ব্যর্থ।
[কেমন ছিল প্রথম ওয়ানডেতে অধিনায়কত্বের অনুভূতি? জানালেন রোহিত]
কথায় বলে মর্নিং শোজ দ্য ডে। কিন্তু মঙ্গলবার সকালটা দেখে অনেকেই আন্দাজ করতে পারেননি দিনের শেষে এমন বিধ্বস্ত হয়ে পড়বে বাংলা। এদিন সকাল থেকে বেশ চেনা ছন্দেই ছিলেন মহম্মদ শামি। সেই পেস। সুইং, বাউন্স। তাঁর পেস ঝড়েই শুরুতে জোর ধাক্কা পায় দিল্লির ব্যাটিং লাইন আপ। দিল্লি দ্বিতীয় দিন শেষ করেছিল ২৭১/৩ -তে। তৃতীয় দিনের শুরুর মিনিট পনেরোর মধ্যে সেই দিল্লি ২৮১/৫। দিল্লির দুই ওপেনার চান্ডেলা ও গম্ভীর ভিত শক্ত করেই রেখেছিলেন ঠিকই। তবে মাত্র ১১২ রানের লিড নিতেই সবকটি উইকেট খোয়ায় দল। তখনই শুরু হয়ে যায় জল্পনা। তাহলে কি লিড নিতে পারবে বাংলা? কিন্তু লিড নেওয়া তো দূর। ৮৬ রানেও গুটিয়ে গেল দল। আর সেই সঙ্গেই এক ইনিংস ও ২৬ রানে জয়ী দিল্লি।
[দক্ষিণ আফ্রিকায় ভারতের ইউএসপি বিরাটের অ্যাগ্রেসন, মত বিশেষজ্ঞদের]
The post হতশ্রী ব্যাটিংয়ে সেমিফাইনালেই শেষ বাংলার রণজি অভিযান appeared first on Sangbad Pratidin.