সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ধর্ষকের কোনও জাত হয় না। যিনি ধর্ষিতা হচ্ছেন তিনি হিন্দু না মুসলিম- সে প্রশ্ন করাও বৃথা। ধর্ষক কোন ধর্মাবলম্বী তার ভিত্তিতে প্রতিবাদ করা উচিত নয়। ধর্ষকরা আসলে রাক্ষস। সামাজিকভাবে তাদের বয়কট করা উচিত। দেশে ক্রমাগত বাড়তে থাকা ধর্ষণ নিয়ে এবার নিজের উদ্বেগ প্রকাশ করে সোচ্চার হলেন নোবেলজয়ী কৈলাশ সত্যার্থী।
[ কর্পোরেশনে ঘুরছে মহিলার অতৃপ্ত আত্মা! ওঝা ডেকে চলল পুজোপাঠ ]
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে এই উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন তিনি। দেশে ঘটতে থাকা একাধিক ঘটনায় নিজের মত জানান। তার মধ্যে ছিল গণপিটুনির ঘটনাও। যে ইস্যুতে গোটা দেশে এই মুহূর্তে চিন্তিত। খোদ সুপ্রিম কোর্ট রাজ্যগুলিকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার নির্দেশ দিয়েছে। কেন্দ্রকে নতুন আইন আনার প্রস্তাবও দিয়েছে। এই পরিস্থিতি নিয়েই মুখ খোলেন তিনি। বলেন, যেভাবে একের পর এক ব্যক্তিকে পিটিয়ে মেরে ফেলা হচ্ছে তা কখনওই ভারতের সভ্যতা ও সংস্কৃতির সঙ্গে মানানসই নয়। গোটা দেশের মানুষের মধ্যে একটা ভীতির মনোভাব তৈরি হয়েছে। তাঁর মতে, এই মুহূর্তে দু’রকম প্রবণতা দেখা যাচ্ছে। এক, কোনও একটি বিষয়ে চুপ থাকা। যা বাঞ্ছনীয় নয়। অন্যদিকে অপর কোনও বিষয়ে এতটাই জোরাল প্রতিক্রিয়া তৈরি হচ্ছে যে গণপ্রহারের মতো ঘটনা ঘটছে। এর জন্য সোশ্যাল মিডিয়াকে দোষারোপ করা হলেও, ভিন্নমত কৈলাশের। তাঁর দাবি, দোষ সোশ্যাল মিডিয়ার নয়। বরং এই প্ল্যাটফর্ম দেখিয়ে দিচ্ছে, মানুষ হিসেবে আমরা কতটা অধোগামী। আমাদের সমাজ, রাজনীতি কতটা নিম্নস্তরে গিয়ে ঠেকেছে।
[ ভারতে মুসলিমদের তুলনায় গরু বেশি সুরক্ষিত, শশী থারুরের টুইটে বিতর্ক ]
ধর্ষণ ও ধর্মীয় ভেদাভেদ নিয়ে মুখ খুলেছেন তিনি। একজন হিন্দু যদি দেখেন যে, মুসলিম ধর্ষিতা হচ্ছেন, তাহলে তিনি চুপ করে যান। অন্যদিকে একজন মুসলিম যদি এই কাজ করে তাহলে প্রতিবাদের ঝড় ওঠে। কিন্তু ধর্ষিতার যন্ত্রণা হিন্দু-মুসলিম বিভাজন দিয়ে পরিমাপ করা যায় না। আবার ধর্ষকের অপরাধও এই বিভাজনে লঘু-গুরু হয়ে যায় না। বরং যারা এ কাজ করছে, তারা আসলে রাক্ষস, সামাজিকভাবে তাদের বয়কট করা উচিত বলেই মত নোবেলজয়ীর।
The post ধর্ষকের কোনও জাত নেই, সমাজ থেকে ‘রাক্ষস’ বিদায়ের ডাক নোবেলজয়ীর appeared first on Sangbad Pratidin.