সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সোশ্যাল মিডিয়ার গুণাগুণ নিয়ে চর্চার অন্ত নেই৷ তর্কের কথা উঠলে বেশিরভাগই ভারচুয়াল জগতের বাড়বাড়ন্তের কথাই তুলে ধরবেন৷ কিন্তু সোশ্যাল মিডিয়ার কিছু ভাল দিকও রয়েছে৷ যার প্রমাণ মিলল সম্প্রতি রাজধানী দিল্লিতে৷ যেখানে ফেসবুকের সৌজন্যে নিজের ধর্ষককে পুলিশের হাতে ধরিয়ে দিলেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত তরুণী৷
[প্রকাশিত মাধ্যমিকের ফল, মেধার টক্করে এবার সেরা বাঁকুড়া]
জন্মসূত্রে ভারতীয় হলেও ছোট থেকেই আমেরিকার বাসিন্দা ওই তরুণী৷ মে মাসের প্রথমদিকে দিল্লিতে এক আত্মীয়ের বিয়েতে শামিল হতে এসেছিলেন তিনি৷ বিয়ে শেষ হয়ে গেলেও কোনও পড়াশোনার জন্য থেকে গিয়েছিলেন রাজধানীতে৷ উঠেছিলেন পাহাড়গঞ্জের একটি হোটেলে৷ অভিযোগ, হোটেলের ঘরে তাঁর তিন বন্ধু অমনপাল, বরিন্দর ও মুকেশ তাঁকে মদ্যপান করান৷ কিছুক্ষণ পরে ঘরে আসে যশবন্ত সিং নামে এক ব্যক্তি৷ নেশাগ্রস্ত হওয়ার সুযোগ নিয়ে ২২ বছরের ওই তরুণীকে ধর্ষণ করে যশবন্ত৷ পরদিন সকালে তরুণীর জ্ঞান ফিরলে পুরো বিষয়টি বুঝতে পারেন তিনি৷ তিন বন্ধুকে পুরো বিষয়টি জানান৷ কিন্তু এ নিয়ে আফশোস করলেও তিনজন তাকে পুলিশের কাছে না যাওয়ার পরামর্শ দেন এবং মিটমাট করে নিতে বলেন৷
[কাশ্মীরে সেনার গুলিতে নিকেশ হিজবুল কমান্ডার সবজার ভাট]
কিন্তু তাতে রাজি ছিলেন না তরুণী৷ পুলিশের কাছে গিয়ে অভিযোগ দায়ের করেন তিনি৷ মে মাসের ২৩ তারিখ এফআইআর দায়ের করা হয়৷ তরুণীর আইনজীবী সুরিন্দর সিং হুডা অভিযোগ করেন, এফআইআর দায়ের করার সময়ও কর্তব্যরত মহিলা পুলিশকর্মী খারাপ ব্যবহার করেন তরুণীর সঙ্গে৷ আমেরিকায় বসবাস করার কারণে ইংরাজি ভাষাতেই স্বচ্ছন্দ্য তিনি৷ তবুও তাঁকে হিন্দি ভাষায় অভিযোগ দায়ের করতে বাধ্য করা হয়৷ এতকিছুর পরও হাল ছাড়েননি ওই তরুণী৷ যশবন্তের সঙ্গে তাঁর আগে থেকে আলাপ ছিল না৷ তাই তার চেহারাটা কিছুতেই স্পষ্ট মনে করতে পারছিলেন না তিনি৷ তবে নামটি মনে ছিল৷ সেই নাম লিখেই ফেসবুকে সার্চ করেন তিনি৷ ঘটনাচক্রে দিল্লির যশবন্তকে খুঁজেও পান৷ তাঁর ছবি সেভ করে পুলিশের হাতে তুলে দেন৷ সেই ছবির সূত্র ধরেই অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ৷
[বন্যা মোকাবিলায় শ্রীলঙ্কার পাশে মোদি, যাচ্ছে জাহাজ]