সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: শেষবার যখন পৃথিবীর আকাশে ফুটে উঠেছিল সবুজ রঙের ধূমকেতুটি তখন এই গ্রহে রাজত্ব করছে নিয়ান্ডারথাল মানুষরা। প্রাগৈতিহাসিক সেই যুগের পর আবার ফিরছে সেই মহাজাগতিক আলোকপিণ্ডটি। যার পোশাকি নাম সি/২০২২ ই৩ (জেডটিএফ)। গত বছরের মার্চে বৃহস্পতির কক্ষপথে তাকে খুঁজে পেয়েছিলেন জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা। শনিবার পৃথিবীর সবচেয়ে কাছাকাছি আসবে এই ধূমকেতু।
ধূমকেতুর শরীরে থাকে বরফের আচ্ছাদন। ভিতরে থাকে অন্ধকার জৈব উপদান। সৌরজগতের গঠন সম্পর্কে বিশদে জানতে ধূমকেতুর উপর নির্ভর করেন বিজ্ঞানীরা। তাই প্রতিটি নতুন ধূমকেতুকে (Comet) নিরীক্ষণ করেন তাঁরা। স্বাভাবিক ভাবেই সবজেটে এই ধূমকেতুকে ঘিরে আগ্রহের শেষ নেই সাধারণ ভাবেই। উল্লেখ্য, সূর্যের যত কাছে এগোচ্ছে সে, ততই গলে যাচ্ছে তার বরফের লেজ।
[আরও পড়ুন: মহারাষ্ট্রের শিরডিতে মর্মান্তিক দুর্ঘটনা, ৭ মহিলা ও ২ শিশু-সহ দশজনের মৃত্যু]
বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন, ৫০ হাজার বছর আগে শেষবার দেখা গিয়েছিল এটিকে। সেই সময় পৃথিবীতে সবে মাত্র আবির্ভূত হয়েছে হোমো স্যাপিয়েন্স। কিন্তু গ্রহের রাজত্ব নিয়ান্ডারথালদের হাতে। লাদাখে অবস্থিত হিমালয়ান চন্দ্র টেলিস্কোপ তুলে ফেলেছে এই নব আবিষ্কৃত ধূমকেতুর ছবি। টেলিস্কোপে তার চলন খতিয়ে দেখে বোঝা গিয়েছে গড়পড়তা ধূমকেতুর তুলনায় এটি বেশ দ্রুতগামী।
কেমন গঠন এই ধূমকেতুটির? জানা যাচ্ছে, এর লেজের সংখ্যা দুই। যা তৈরি হয়েছে মূলত গ্যাস ও ধুলো দিয়ে। এবার দূরে চলে গেলে কি ফের ৫০ হাজার বছর পরেই ফিরবে সি/২০২২ ই৩? জেসিকা লি নামের এক জ্যোতির্বিজ্ঞানী জানাচ্ছেন, ”আমাদের কাছে এমন হিসেব নেই যে এবার পৃথিবী পেরিয়ে গিয়ে কত দূর চলে যাবে ধূমকেতুটি। তবে এটা বলতেই পারে, আবারও যদি এটা ফিরে আসে সেটা অন্তত ৫০ হাজার বছরের আগে হবে না।”
[আরও পড়ুন: বারাণসী থেকে কলকাতা হয়ে ডিব্রুগড়, বিশ্বের দীর্ঘতম প্রমোদতরীর উদ্বোধনে প্রধানমন্ত্রী]
খালি চোখেই কি দেখা যাবে? বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, যাবে। তবে টেলিস্কোপেই ভাল দেখা যাবে। খালি চোখে দেখা গেলেও ততটা উজ্জ্বল ভাবে যাবে না। জানুয়ারির দ্বিতীয়ার্ধ পর্যন্ত খেয়াল করলে আকাশে ওই সবুজ ধূমকেতুকে দেখা যাবে। তবে ধীরে ধীরে কমে যাবে উজ্জ্বলতা।