দিব্যেন্দু মজুমদার, হুগলি: মাহেশের রথযাত্রাতেও এবার করোনার থাবা। চলতি বছরের জন্য স্থগিত রথযাত্রা। এবার আর রথে চড়বেন না জগন্নাথ, বলরাম, সুভদ্রা। শনিবার জেলাশাসকের সঙ্গে বৈঠকের পর এই সিদ্ধান্তের কথা জানান জগন্নাথ ট্রাস্টি বোর্ডের সম্পাদক পিয়াল অধিকারী।
এবার ৬২৪ বছর পা দেওয়ার কথা মাহেশের রথযাত্রার। প্রতি বছর নিয়ম মেনে শুক্লাপক্ষের দ্বিতীয়াতে রথের রশিতে টান দেওয়া হয়। স্নানযাত্রার পর রথে চড়ে মাসির বাড়িতে যান জগন্নাথ, বলরাম ও সুভদ্রা। তবে এবার মারণ ভাইরাস করোনার জেরে সমস্ত নিয়মে বদল। শনিবার হুগলির জেলাশাসকের সঙ্গে জগন্নাথ ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্যরা বৈঠকে বসেন। ওই বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী চলতি বছর দ্বিতীয় বৃহত্তম মাহেশের রথযাত্রা হবে না। রথে চড়বেন না জগন্নাথ, বলরাম, সুভদ্রা কেউই। স্নানযাত্রার ক্ষেত্রেও নিয়মে বদল করা হবে। মাঠের বদলে মন্দির প্রাঙ্গণেই হবে স্নানযাত্রা। কোনও পুণ্যার্থী উপস্থিত থাকতে পারবেন না। থাকবেন শুধুমাত্র সেবায়েতরা।
[আরও পড়ুন: জগন্নাথদেবও থাকেন ১৪ দিনের ‘কোয়ারেন্টাইনে’, করোনা আবহে তাৎপর্যপূর্ণ এই রীতি]
মাসির বাড়ি পাঠানো হবে না জগন্নাথ, বলরাম ও সুভদ্রাকে। পরিবর্তে শুধুমাত্র নারায়ণ শিলাকে দেড় কিলোমিটার দূরে মাসির বাড়িতে পাঠানো হবে। আবার শুক্লা দশমীতে নারায়ণ শিলা ফিরবে মন্দিরে। তবে যাওয়া এবং আসা দু’ক্ষেত্রেই খুব কম সংখ্যক সেবায়েত উপস্থিত থাকতে পারবেন। জগন্নাথ ট্রাস্ট বোর্ডের সম্পাদক পিয়াল অধিকারী বলেন, “করোনার কথা মাথায় রেখে মানুষের জীবনের স্বার্থে রথযাত্রা স্থগিত রাখা হয়েছে।”
শুক্রবারই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করে ১ জুন থেকে সমস্ত ধর্মস্থান খোলা হবে। নির্দিষ্ট সরকারি নিয়ম মেনে আগামী ১ জুন থেকে খুলে দেওয়া হবে মন্দিরের দরজা। তবে কোনওভাবেই দর্শনার্থীদের জমায়েত করতে দেওয়া হবে না। পরিবর্তে অল্প সংখ্যক মানুষই পুজো দিতে পারবেন। প্রত্যেককেই ব্যবহার করতে হবে মাস্ক। এছাড়াও নির্দিষ্ট স্বাস্থ্যবিধিও মেনে চলতে হবে।
[আরও পড়ুন: এবার করোনার কোপে রথযাত্রাও, পুরীর মন্দিরে এভাবেই হবে জগন্নাথ দেবের পুজো]
The post করোনার কোপ, ৬২৪ বছরে প্রথমবার মাহেশের রথের রশিতে পড়বে না টান appeared first on Sangbad Pratidin.