সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রবিবার ৭ তারিখ রথযাত্রা। তবে এবারের রথযাত্রা শুরু হতে বিকেল গড়িয়ে সন্ধ্যা হতে পারে। এমনটাই মনে করছেন জগন্নাথদেবের সেবায়েতরা। স্নানযাত্রার পর জ্বরে অসুস্থতার লীলা সম্পন্ন করেন জগন্নাথদেব। তার দুদিন পরে হয় রথযাত্রা। এর মাঝের সময়ে হয় নেত্র উৎসব ও নব যৌবন উৎসব। মন্দিরেই এই উৎসব পালন করা হয়। তবে এবার তিথির ফেরে নেত্র উৎসব, নব যৌবন উৎসব, রথযাত্রা একই দিনে পড়েছে। ফলে রথযাত্রা শুরু হতে বিকেল গড়িয়ে সন্ধ্যা নেমে যেতে পারে। সে ক্ষেত্রে অন্ধকার নেমে এলে রথ কিছুটা এগিয়ে রাস্তাতেই অপেক্ষা করবে। পরের দিন ফের যাত্রা শুরু হবে।
[আরও পডু়ন: খুনের মামলায় বিচারপতিদের ভিন্ন মত, জলপাইগুড়ি সার্কিট বেঞ্চের মামলা গেল প্রধান বিচারপতির কাছে]
ধর্মীয় রীতি অনুসারে, স্নানযাত্রার পর জ্বর আসে দুই ভাই ও বোনের। সেই সময় আলাদা ঘরে রাখা হয় তাঁদের। অসুস্থতা থেকে সেরে ওঠার পর বিগ্রহে রূপটানের অনুষ্ঠান নেত্র উৎসব ও নব যৌবন উৎসব পালিত হয়ে থাকে। এই সময় ভক্তরা সেই অনুষ্ঠানের সাক্ষী থাকেন। তবে এবার সেই রীতিতে ছেদ পড়ছে। উৎসব পালিত হবে, তবে ভক্তরা তা দেখতে পাবেন না। সব রীতি পালন করার পর রথযাত্রা শুরু হবে। সে ক্ষেত্রে রথের দড়িতে টান পড়তে বিকেল পাঁচটা হয়ে যেতে পারে।
এ বারই অবশ্য প্রথমবার নয়। আগেও বেশ কয়েকবার তিন তিথি অর্থাৎ নেত্র উৎসব, নব যৌবন উৎসব ও রথযাত্রা একই দিনে পড়েছে। ১৯০৯ এবং ১৯৭১ সালে এই তিথি একই দিনে হয়েছিল বলে জানা যাচ্ছে। এবার দেখার বিষয় কখন রথযাত্রা শুরু হয়। জগন্নাথদেবের মন্দির থেকে মাসির বাড়ির দূরত্ব তিন কিলোমিটার। তাই রথের দড়িতে টান পড়লেও, তিনটি রথ মাসির বাড়ি গুন্ডিচা মন্দিরে পৌঁছতে পারে কিনা সেটাই দেখার। সেবায়েতরা জানাচ্ছেন সবই প্রভু জগন্নাথের ইচ্ছা।