দিশা ইসলাম, বিধাননগর: রেশন দুর্নীতি ইস্যুতে খাদ্যভবনকে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছে ডিলার সংগঠনগুলি। তার প্রতিবাদে রাজ্যের ২০ হাজারের বেশি রেশন দোকান (Ration Shop) বন্ধ রাখার হুঁশিয়ারি সংগঠকদের। আগামী মাস অর্থাৎ ডিসেম্বরের শুরুতেই গণবন্টন প্রক্রিয়া বন্ধ রাখার হুঁশিয়ারি দিলেন তাঁরা৷ এবং তা চলবে অনির্দিষ্টকাল৷ রেশন দুর্নীতি মামলায় রাজ্যজুড়ে তল্লাশি চলাকালীনই রাজ্যের গণবন্টন (Public distribution) সংগঠন ‘অল ইন্ডিয়া ফেয়ার প্রাইস শপ্ ডিলার্স ফেডারেশন’ এই হুমকি দিল৷
সংগঠনের দাবি, রেশন দুর্নীতির পিছনে খাদ্যভবনের (Khadya Bhaban) একাংশের যোগসাজশ রয়েছে৷ শুক্রবার বিকেলে কেষ্টপুরে একটি সাংবাদিক বৈঠকে চাঞ্চল্যকর এই অভিযোগ তুলে অল ইন্ডিয়া ডিলার্স সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক বিশ্বম্ভর বসু দাবি করেন, রেশন দুর্নীতিতে খাদ্য ভবনের রিফার্ম সেল এবং আইটি সেলের একাংশ অফিসারদের প্রচ্ছন্ন মদত রয়েছে৷
[আরও পড়ুন: ১০ লাখ থেকে ৩ বছরে ১০ কোটি সম্পত্তি শিশিরের! ‘কোন জাদুতে’, প্রশ্ন কুণালের]
প্রসঙ্গত, এই দুটি সংস্থার অন্যতম কাজ হল, রেশন বন্টন প্রক্রিয়ার তদারকি করা৷ মূলত এদের বিরুদ্ধে বিশ্বম্ভর বসুর অভিযোগ, এমন বহু রেশন শপ রয়েছে যেখানে পর্যাপ্ত জায়গার অভাব৷ এমন ডিলারদের মাসিক বরাদ্দ খাদ্যসামগ্রী দুটি ধাপে মজুত করতে হয় দোকানে৷ সেক্ষেত্রে দ্বিতীয় ধাপের খাদ্য সামগ্রী মেলেনি অনেক দোকানদারের৷ এর ফলে নির্ধারিত কার্ড থেকেও বহু গ্রাহক রেশন পরিষেবা থেকে বঞ্চিত হন৷ এতে সমস্যার সম্মুখীন হন ডিলাররাও৷ বিশ্বম্ভরবাবু বলেন, “সমস্যার বিষয়টি একাধিকবার খাদ্য ভবনে অবগত করা হয়েছিল৷ কিন্তু তার কোনও সুরাহা মেলেনি৷”
[আরও পড়ুন: সোশাল মিডিয়ায় বিশ্বকাপের টিকিটের খোঁজ, ৯০ হাজার টাকা খোয়ালেন ক্রিকেটপ্রেমী]
কিন্তু আচমকাই কেন রেশন পরিষেবা বন্ধ (Strike) রাখার ডাক? ডিলার সংগঠনের কর্তাদের বক্তব্য, জীবন ও জীবিকা নির্বাহের তাগিদে ন্যূনতম আয় অর্থাৎ মাসে ৫০ হাজার টাকা কমিশন সুনিশ্চিত করা, করোনা কালে রেশন পরিষেবার বকেয়া টাকা দ্রুত মেটানো৷ সঠিক ওজনে রেশন দোকানগুলিতে খাদ্যশস্য সামগ্রী পৌঁছে দেওয়া ছাড়াও আরও বেশ কয়েক দফা দাবিতে সরব হয়ে রেশন বন্টন প্রক্রিয়া বন্ধ করার হুঁশিয়ারি দিল অল ইন্ডিয়া ফেয়ার প্রাইস শপ ডিলার্স ফেডারেশন।