অর্ণব আইচ: বিপুল পরিমাণ কালো টাকা সাদা করতে অভিনব পদ্ধতি নিয়েছিলেন রেশন দুর্নীতিতে ধৃত বাকিবুর রহমান। তৈরি করেছিলেন ভুয়ো কৃষক সংগঠন। তাঁকে সঙ্গত দিয়েছিলেন প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক? তথ্যের খোঁজে ইডি। মন্ত্রীর বেনামে কোনও সম্পত্তি রয়েছে কি না, সেই তথ্যও জানার চেষ্টায় তদন্তকারীরা।
ইডি সূত্রে খবর, রেশন বন্টন দুর্নীতির অন্যতম অভিযুক্ত বাকিবুর রহমানের তত্ত্বাবধানে একটি ভুয়ো কৃষক সংগঠন তৈরি করা হয়। ওই ‘ফার্মারস ফোরাম’-এ সদস্য হিসাবে ভুয়ো শস্যদানা ক্রেতা ও বিক্রেতাদের নাম রাখা হয়। তাদের মাধ্যমেই শস্য কেনাবেচা হয়েছে বলে দেখানো হয়েছিল। এই পদ্ধতিতেই বিপুল পরিমাণ কালো টাকা সাদা করা হয়েছে বলে দাবি ইডির। এই ভুয়ো ফোরাম বা সংগঠন বাকিবুর রহমান নিয়ন্ত্রণ করত বলে অনেকটাই নিশ্চিত ইডির গোয়েন্দারা। এই ব্যাপারে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক কতটা জানেন, সেই ব্যাপারেও ইতিমধ্যেই তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে বলেই খবর।
[আরও পড়ুন: হস্তক্ষেপ করল না হাই কোর্ট, আপাতত কম্যান্ড হাসপাতালেই করা যাবে জ্যোতিপ্রিয়র চিকিৎসা]
সূত্রের খবর, খাদ্যদপ্তরে আনাগোনা ছিল বাকিবুর রহমানের। জ্যোতিপ্রিয় বনমন্ত্রী হওয়ার পরেও ওই দপ্তরে যাতায়াত করত সে। শুধু তাই নয় জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের কনভয়ের মধ্যেও বাকিবুর রহমানের গাড়ি থাকত বলেই জানা গিয়েছে। ইডির হাতে আসা এমনই নানা তথ্য থেকে কার্যত স্পষ্ট বাকিবুর এবং জ্যোতিপ্রিয়র ‘ঘনিষ্ঠতা’। সে সম্পর্কিত আরও নানা তথ্যের খোঁজে দুজনকে মুখোমুখি বসিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের ভাবনাচিন্তাও রয়েছে ইডির। তবে সূত্রের খবর, জেরায় বেশ সাবধানী উত্তর দিচ্ছেন জ্যোতিপ্রিয়।