অর্ণব আইচ: রেশন বণ্টন দুর্নীতির টাকা গিয়েছে আরও প্রায় ৫০ জনের কাছে, এমনই অভিযোগ এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটর। সেইমতো নামের তালিকাও তৈরি করেছে ইডি। তাঁদের একটি বড় অংশকে তলব করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হতে পারে। রেশন বণ্টন দুর্নীতির মামলায় আগামী ১৯ জুন অভিনেত্রী ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তকে তলব করেছেন তদন্তকারী। ইডির দাবি, অভিনেত্রী ছাড়াও রেশন বন্টন দুর্নীতির(Ration Scam Case) তদন্তে ক্রমে একের পর এক নাম উঠে এসেছে। তাঁদের সঙ্গে এই মামলায় অভিযুক্তদের মধ্যে কয়েকজনের সঙ্গে বিপুল টাকার লেনদেন হয়েছে।
ইডির সূত্র জানিয়েছে, এই মামলায় গত বছর থেকে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক, ব্যবসায়ী বাকিবুর রহমান, শঙ্কর আঢ্য-সহ অনেককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এবার এই মামলার দ্বিতীয় পর্যায়ের তদন্ত শুরু হচ্ছে বলে ইডির দাবি। তারই প্রাথমিক অবস্থায় ১৯ জুন সকাল ১১টায় অভিনেত্রী ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তকে তলব করা হয়েছে সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্সে। ইডি সূত্রের খবর, বিদেশ থেকে কলকাতায় ফেরার পর ১৯ জুন অভিনেত্রী ইডি দপ্তরে হাজিরা দিতে পারেন বলে জানিয়েছেন। তাঁকে বেশ কিছু নথি নিয়ে আসতে বলা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে তাঁর যাবতীয় ব্যাঙ্ক লেনদেন ও আয়করের নথি।
[আরও পড়ুন: NEET-এ ‘বেনিয়ম’ মানল কেন্দ্র? গ্রেস মার্কস পাওয়া ১৫৬৩ জনকে ফের দিতে হবে পরীক্ষা]
ইডি সূত্রের খবর, অভিনেত্রীকে তাঁর আয় সংক্রান্ত ব্যাপারে জিজ্ঞাসাবাদ করা হতে পারে। একই সঙ্গে তাঁর প্রযোজনা সংস্থা নিয়েও প্রশ্ন করতে পারেন ইডি আধিকারিকরা। তাঁর প্রযোজনা সংস্থার আয় ও আয়ের নথিও ইডি খতিয়ে দেখবে। ওই সংস্থার মাধ্যমে কী কী ছবি, রিয়্যালিটি শো, টিভি অনুষ্ঠান প্রযোজনা করা হয়েছে, ইডি তা জানার চেষ্টা করছে। তারই ভিত্তিতে অভিনেত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদ করে ওই প্রযোজনাগুলির আয়ের সূত্র কী, তা জানার চেষ্টা করবেন তদন্তকারীরা। একই সঙ্গে রেশন বন্টন দুর্নীতির যে অভিযুক্তর সঙ্গে অভিনেত্রীর ব্যাঙ্ক লেনদেনের প্রমাণ মিলেছে, তিনি কোন কোন খাতে বা কী কী কারণে ওই ব্যক্তির কাছ থেকে টাকা নিয়েছেন, তা জানার জন্য ইডি আধিকারিকরা অভিনেত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদ করবেন।
এদিকে, ইডির গোয়েন্দাদের দাবি, তদন্তে রেশন বন্টন দুর্নীতির অভিযুক্তদের সঙ্গে প্রায় ৫০ জনের লেনদেনের তথ্য সামনে এসেছে। তাঁদের কাছ থেকে ওই ব্যক্তিদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে বিভিন্ন পরিমাণ টাকা জমা পড়েছে। ওই টাকা রেশন বন্টন দুর্নীতির, এমনই অভিযোগ ইডি আধিকারিকদের। কী কারণে তাঁদের অভিযুক্তরা টাকা দিয়েছিলেন, সেই তথ্য ইডি জানতে চায়। সেইমতো ওই ৫০ জনের তালিকাও ইডি তৈরি করে। ইডি আধিকারিকদের মতে, একে একে ওই ব্যক্তিদের তলব করা হতে পারে।