অর্ণব আইচ: রেশন দুর্নীতি কাণ্ডের তদন্তে নেমে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য হাতে আসছে তদন্তকারীদের। ইতিমধ্যে এই ঘটনায় গ্রেপ্তার হয়েছেন প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক (Jyotipriya Mallick)। তাঁর ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ীদের বাড়ি, গুদামে তল্লাশি চলছে লাগাতার। মন্ত্রীর ঘনিষ্ঠ ধৃত বাকিবুর রহমান এই চক্রের অন্যতম কিংপিন বলে পরিচিত। তাঁকে ঘিরে বাকিদের নাগালে পেতে চাইছে ইডি (ED)। তবে ইতিমধ্যেই বাকিবুর ঘনিষ্ঠ একাধিক মিলের মালিকদের জিজ্ঞাসাবাদ করে চাঞ্চল্যকর তথ্য পেয়েছেন বলে দাবি তদন্তকারীদের। ইডির দাবি, কালো টাকা সাদা করার রাস্তা বাতলে দিতেন মন্ত্রী নিজেই। একজনকে জিজ্ঞাসাবাদে এই তথ্য উঠে এসেছে বলে দাবি।
এক মিল মালিকের বয়ান এসেছে ইডির হাতে। সেই বয়ান অনুযায়ী, কালো টাকা সাদা করতে ঘনিষ্ঠদের ‘মন্ত্র’ দিতেন জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। সূত্রের খবর, ইডির জিজ্ঞাসাবাদে ওই মিল মালিক জানান, জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক তাঁকে দিয়ে নিজের পরিচারকের নামে ৫০ লক্ষ টাকার দানপত্র করান। এখানেই শেষ নয়, ওই ব্যবসায়ীর দাবি, ৫০ লক্ষ টাকা ছাড়াও নিজের পরিচারকের নামে বেশ কিছু সম্পত্তিরও দানপত্র করিয়েছিলেন মন্ত্রী। যাতে বেআইনি বলে কিছু প্রতিপন্ন করা না যায়। এভাবেই নিজের ঘনিষ্ঠদের কালো টাকা সাদা করার রাস্তা দেখাতেন জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক।
[আরও পড়ুন: ২০১১-র পরের তৃণমূলের কাউন্সিলররা অ্যাক্সিডেন্টাল নেতা! বিস্ফোরক অর্জুন]
এই বয়ানগুলিই এখন রেশন দুর্নীতি মামলায় ইডির ‘তুরুপের তাস’। জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক, বাকিবুর রহমান ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ীদের জিজ্ঞাসাবাদে উঠে আসা এসব বয়ান যোগ করেই এই দুর্নীতি কাণ্ডের কিনারা করতে তৎপর ইডি তদন্তকারী। দরকারে তাঁদের সঙ্গে ধৃত মন্ত্রীকে মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করা হতে পারে বলে সূত্রের খবর। আর কোন কোন পথে কালো টাকা সাদা হতো, কারা কারাই বা সেই সুবিধা পেয়েছেন, সেসব জানতে চান তদন্তকারীরা।