শেখর চন্দ, আসানসোল: জামিনের আবেদনই করেননি আইনজীবী। ফলে আরও ১৪ দিনের জেল হেফাজত কয়লা কাণ্ডে অভিযুক্ত রত্নেশ বর্মার (Ratnesh Verma)। এদিন সিবিআইয়ের পক্ষ থেকে বেশ কিছু নথি এবং তথ্য বিচারকের কাছে জমা দেওয়া হয়। সূত্রের খবর, অনুপ মাজি ওরফে লালার কয়লা কারবারে রত্নেশ ট্রান্সপোর্টার, লিঙ্কম্যান হিসেবে কাজ করতেন রত্নেশ। এদিকে এদিন সিবিআই এজলাসে উঠে এল লালার প্রসঙ্গ।
এদিন বিচারক রাজেশ চক্রবর্তী সিবিআইয়ের কাছে সুপ্রিম কোর্টে লালার সুরক্ষা কবজের বর্তমান পরিস্থিতি কী তা জানতে চান। বিচারক জানতে চান, সিবিআইয়ের তরফে লালার সুরক্ষা কবজ নিয়ে কোনও আপত্তি করা হয়েছিল কি না। সিবিআই আইনজীবী এদিন জানান, লালার সুপ্রিম কোর্টে সুরক্ষা কবজ আর মাত্র সাতদিন রয়েছে। জানা গিয়েছে, কয়লা কাণ্ডের কিং পিন অনুপ মাজি ওরফে লালার বিরুদ্ধে সিবিআইয়ের যে মামলা তার সঙ্গে আরও ৯ টি নতুন মামলা জোড়া হয়েছে। রাজ্য প্রশাসন থেকে শুরু করে ইসিএল এরকম মোট ৯ টি সংস্থা পৃথক পৃথক মামলা রজু করেছে।
[আরও পড়ুন: অনুষ্ঠান চলাকালীন জয়নগরে গ্যাস বেলুন সিলিন্ডার বিস্ফোরণ, প্রাণ গেল ৪ জনের]
উল্লেখ্য, ১৩ দিন সিবিআই হেফাজতে থাকার পর সোমবার আসানসোল সিবিআই আদালতে আনা হয় কয়লা কাণ্ডে অভিযুক্ত লালা ঘনিষ্ঠ রত্নেশ বর্মাকে। গত ১ ফেব্রুয়ারি রত্নেশকে ১৩ দিনের হেফাজতে পায় কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সিবিআই। ১৩ ফেব্রুয়ারি এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে বলে বিচারক রাজেশ চক্রবর্তী নির্দেশ দিয়েছিলেন। সেইমত সোমবার আদালতে রত্নেশকে পেশ করা হয়।
এই রত্নেশ বর্মা ও বিনয় মিশ্রকে কয়লা পাচার মামলায় সিবিআইয়ের বিশেষ আদালত থেকে পলাতক বা ফেরার ঘোষণা করা হয়েছিল। জানা গেছে, ২০১৯ ও ২০২০ সালে পরপর দুবার ওপেন ওয়ারেন্ট ঘোষণা করা হয়েছিল। বহুদিন ধরে তার খোঁজ চালাচ্ছিল সিবিআই। কিন্তু খুঁজে পাচ্ছিল না। শেষ পর্যন্ত ৩১ জানুয়ারি খানিকটা অপ্রত্যাশিত ভাবেই সিবিআইয়ের বিশেষ আদালতে আত্মসমর্পণ করে রত্নেশ ভার্মা।
হীরাপুরের নরসুমদা কোলিয়ারি এলাকার বাসিন্দা রত্নেশ বর্মা। সিবিআইয়ের অফিসাররা দু’বার তার বাড়িতে নোটিস দিয়েছিলেন। কথা বলা হয়েছিল পরিবারের সদস্যদেরও সঙ্গে। তার সম্পত্তিও ক্রোক করার প্রক্রিয়া আদালতের নির্দেশে শুরু হয়েছিল। প্রসঙ্গত, সিবিআই এই কয়লা পাচার মামলায় সে চার্জশিট আসানসোলে সিবিআইয়ের বিশেষ আদালতে জমা দিয়েছে, তাতেও রত্নেশের নাম রয়েছে।