আকাশ মিশ্র: গা ছমছমে পরিবেশ। জঙ্গলের নিস্তব্দতা ভেঙে ধীরে ধীরে এগিয়ে চলেছে পুলিশ অফিসার অঙ্গদ (পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়) ও কস্তুরী (রবিনা ট্যান্ডন)। সাসপেন্স সবে তৈরিই হচ্ছিল। কিন্তু তারপর… ঠিক এখানেই গোটা রোমাঞ্চ থেকে একশো আশি ডিগ্রি ঘুরে দাঁড়াল নেটফ্লিক্সে সদ্য মুক্তি পাওয়া ‘আরণ্যক’ সিরিজ। বার বার এমনই রোমাঞ্চ তৈরি করেও, শেষমেশ বড্ড দুর্বল সাসপেন্সের গল্পকে এগিয়ে নিয়ে চলল এই সিরিজ। ফলে প্রথম এপিসোড শুরু হওয়ার আধঘণ্টার মধ্য়েই আপনি বুঝে যাবেন, এর ক্লাইম্যাক্স ঠিক কী হতে চলেছে!
‘আরণ্যক’ সিরিজ থেকেই ওয়েব দুনিয়ায় পা রাখলেন রবিনা ট্যান্ডন। বহুদিন পর স্ক্রিনে রবিনাকে দেখতে ভাল লাগবে। যথেষ্ট চেষ্টা করেছেন তিনি। তবে চিত্রনাট্যই যদি দুর্বল হয়, অভিনয় ভাল হলেও, ছবি দাঁড়ায় না। আরণ্যকের ক্ষেত্রে এমনটাই ঘটে। পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়ের ক্ষেত্রেও এই একই কথা প্রযোজ্য। তবে এরই মাঝে নজর কাড়েন আশুতোষ রানা। বহুদিন পর স্বমহিমায় দেখা গেল তাঁকে।
[আরও পড়ুন: Aarya Season 2 Review: ‘আরিয়া’ সিরিজের দ্বিতীয় মরশুমে প্রত্যাশা পূরণ করতে পারলেন সুস্মিতা সেন? ]
ছবির গল্প মূলত, খুন, কিডন্যাপকে কেন্দ্র করে। নেপথ্যে রয়েছে বদলা। সেই বদলার গল্পের সঙ্গে ছবির টুইস্ট হিসেবে পরিচালক বিনয় ওয়াইকুল এক নরখাদককে টেনে নিয়ে আসলেন। আর এখানেই বলে রাখা প্রয়োজন এই নরখাদক আসলে গল্পের মোড় ঘুরিয়ে দেবে। তবে এটিকে যদি ছবির চমক হিসেবে ভাবেন, তাহলে বোকা হতে হবে। এত কিছু করেও সাসপেন্স ধরে রাখতে পারে না ‘আরণ্যক’। তাই সিরিজ শেষ হয়ে গেলেও, মস্তিষ্কে কোনও ছাপই ফেলতে পারল না আরণ্যক। ভাল ভাল অভিনেতাদের নিয়ে এক দুর্বল সিরিজ বানিয়ে ফেললেন পরিচালক বিনয়।