সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গত দু’আড়াই বছরে কম খারাপ দিন যায়নি তাঁর জীবনে। বিশেষজ্ঞ, সমর্থক, এমনকী ক্রিকেট প্রশাসকরাও খারাপ ফর্ম নিয়ে তাঁকে কথা শুনিয়ে গিয়েছেন এই সময়ে। কার্যত গোটা ক্রিকেট বিশ্ব যখন তাঁর বিরুদ্ধে কথা বলছে, তখন যে গুটিকয়েক মানুষ বিরাট কোহলির পাশে দাঁড়িয়েছিলেন তাঁদের মধ্যে একজন হলেন রবি শাস্ত্রী (Ravi Shastri)। টিম ইন্ডিয়ার প্রাক্তন কোচ। কোহলি যখন মেলবোর্নে রূপকথা লিখছেন, স্বাভাবিকভাবেই তখন আবেগপ্রবণ হয়ে গিয়েছিলেন শাস্ত্রী। এখনও যেন আবেগ বাঁধ মানছে না তাঁর। সটান নিন্দুকদের বলে দিচ্ছেন, কী সবাইকে চুপ করিয়ে দিল তো!
পাকিস্তানের বিরুদ্ধে বিরাটের ওই মহাকাব্যিক ইনিংস মন জেতেনি, হেন কোনও ক্রিকেট সমর্থক নেই। নিন্দুকেরাও আজ কোহলিকে (Virat Kohli) নিয়ে উচ্ছ্বসিত। প্রিয় ছাত্রের খেলা দেখে মন্ত্রমুগ্ধ শাস্ত্রী এক সাক্ষাৎকারে বলছিলেন,”এত বছর ধরে আমি ভারত-পাক ম্যাচ খেলেছি, দেখেছি, রাউফের বলে কোহলি যে ছক্কা দুটি মারল, সেটাই আমার দেখা কোনও ভারতীয় ব্যাটারের সেরা শট। এর ধারেকাছে আসে শুধু ২০০৩ সালে সেঞ্চুরিয়নে শোয়েব আখতারের (Shoaib Akhtar) বলে মারা শচীনের ছক্কা। তেণ্ডুলকরের ইনিংসে আক্রম, ওয়াকার ইউনুসদের বিরুদ্ধে দুর্দান্ত কিছু শট খেলেছিল। তারপরই বিরাটের এই ইনিংস। এই দুটিই আমার দেখা সেরা ইনিংস।”
[আরও পড়ুন: এগিয়ে আসছে বিশ্বকাপ, ভারত থেকে ছয় ফুটের লম্বা ফুটবল বুট যাচ্ছে কাতারে]
শাস্ত্রী জানিয়েছেন, বিরাট এই ইনিংসটা যখন খেলছিল, তখন তিনি আবেগতাড়িত হয়ে যাচ্ছিলেন। তবে ম্যাচের শেষে আর প্রিয় ছাত্রের সঙ্গে কোনও কথা বলেননি। টিম ইন্ডিয়ার (Team India) প্রাক্তন কোচের কথায়, “আমি জানি গত দু’বছর ওর সঙ্গে কী কী হয়েছে। আমি অনেক কাছ থেকে দেখেছি সবটা। আসলে আমাদের দেশের মানুষের স্মৃতিশক্তি ভীষণ দুর্বল। আমরা দু’মিনিটে সব ভুলে যায়। আমি জানি ওর এখন কেমন লাগছে, ও জানে আমার ওর সম্পর্কে কী ধারণা। তাই আলাদা করে বলার কিছু নেই।”
[আরও পড়ুন: পাক জয়ের পর বিরাট স্তুতি চলছেই, হার্ভের জীবনে শেষ প্রদীপটা যেন জ্বেলে দিয়েছেন কোহলি]
এরপরই নিন্দুকের একহাত নেন শাস্ত্রী। বলে দেন,”বিরাট কোহলি (Virat Kohli) আগেও সুপারস্টার ছিল, এই ইনিংসের পরও সুপারস্টার থাকবেন। ক্রিকেট বিশ্বের উদ্দেশে একটা কথাই বলার, বিরাটকে নিজের জীবন উপভোগ করতে দিন। ও সব প্রত্যাশার ঊর্ধ্বে। আসলে গত দু’বছরে বিরাটের মতো খাটি হীরের উপর কম চাপ তো দেওয়া হয়নি। এবার সবার মুখ বন্ধ করে দিল তো।”