সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রাজকোট টেস্টের দ্বিতীয় দিনের শেষে চেন্নাইয়ে ফিরতে হয়েছিল রবিচন্দ্রন অশ্বিনকে (Ravichandran Ashwin)। আবার চতুর্থ দিন চা বিরতির পরে দলের সঙ্গে যোগ দেন তিনি। মাঝের এই ৪৮ ঘণ্টাকে আমাদের জীবনের দীর্ঘতম ৪৮ ঘণ্টা বলে উল্লেখ করেছিলেন ভারতের তারকা অফস্পিনারের স্ত্রী প্রীতি নারায়ণ (Prithi Narayanan)। ধরমশালায় ১০০ তম টেস্ট ম্যাচ খেলতে নামবেন রবিচন্দ্রন অশ্বিন। স্বামীর শততম টেস্ট ম্যাচের বল গড়ানোর আগে সেই দীর্ঘতম ৪৮ ঘণ্টা প্রসঙ্গে অভিজ্ঞতা শেয়ার করেছেন একটি সংবাদমাধ্যমে।
রাজকোটে ৫০০তম উইকেট নেন অশ্বিন। রাজকোট থেকে চেন্নাই হয়ে টেস্টের চতুর্থ দিন মাঠে ফেরেন অশ্বিন। নিজের ৫০১-তম উইকেটও নেন ভারতের তারকা অফস্পিনার। ৫০০ থেকে ৫০১ উইকেটের মধ্যে অশ্বিনের পরিবারে ঘটে যায় অনেককিছু। একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমে প্রীতি লিখেছেন, ”রাজকোট টেস্ট চলছিল। বাচ্চারা স্কুল থেকে বাড়ি ফেরার পাঁচ মিনিটের মধ্যেই অশ্বিন ৫০০ উইকেট নেয়। তার পর থেকেই সবাই অভিনন্দন জানিয়ে ফোন করতে থাকে।”
[আরও পড়ুন: দ্রুততম ডেলিভারি করে নজির প্রোটিয়া বোলারের, মহিলাদের ক্রিকেটে নতুন ইতিহাস]
এর পরেই ভয়াবহ পরিস্থিতির কথা উল্লেখ করেছেন প্রীতি। অশ্বিনের মা আচম্বিতেই জ্ঞান হারিয়ে পড়ে যান। সেই প্রসঙ্গে অশ্বিনের স্ত্রী লিখেছেন, ”হঠাৎই আন্টি (অশ্বিনের মা) চিৎকার করে ওঠেন। জ্ঞান হারিয়ে মাটিতে পড়ে যান। আমরা আপৎকালীন ভিত্তিতে হাসাপাতালে নিয়ে যাই আন্টিকে। আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম, অশ্বিনকে কিছু জানাব না। কারণ চেন্নাই থেকে রাজকোটের মধ্যে ভালো বিমান যোগাযোগ ব্যবস্থা ছিল না।”
মায়ের অসুস্থতার কথা সেই সময়ে অশ্বিনকে না জানিয়ে প্রীতি চেতেশ্বর পূজারার পরিবারের কাছে সাহায্য চান। কঠিন পরিস্থিতিতে পূজারার পরিবার যথেষ্ট সাহায্য করে।
এরপরই মায়ের অসুস্থতার কথা অশ্বিনকে জানান তারকা অফস্পিনারের স্ত্রী। প্রীতির বক্তব্য অনুযায়ী, মায়ের অসুস্থতার কথা শুনে অশ্বিন ভেঙে পড়েন। তাঁর কণ্ঠস্বর ধরে আসে। এই কঠিন মুহূর্তে অশ্বিনের পাশে থাকার জন্য ভারত অধিনায়ক রোহিত শর্মা, জাতীয় দলের কোচ রাহুল দ্রাবিড়, ভারতীয় দল এবং বিসিসিআই-এর প্রশংসা করেন প্রীতি। স্বামীর চারিত্রিক দৃঢ়তা প্রসঙ্গে প্রীতি লিখেছেন, ”অশ্বিনের যা ব্যক্তিত্ব, তাতে ও ম্যাচ ছেড়ে আসার মানুষ নয়। ভারতকে যদি ম্যাচ জেতাতে না পারত, তাহলে নিজেকে অপরাধী বলেই মনে করত অশ্বিন।”