সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রতিবেশী দেশগুলিকে আতঙ্কিত করে রাখতে চাইছে চিন (China)। আর এর ফলে তৈরি হচ্ছে অস্থিরতা। এমনি অভিযোগ তুলে বেজিংকে কাঠগড়ায় তুলল আমেরিকা (US)। হোয়াইট হাউসের এই বক্তব্য থেকে পরিষ্কার, সম্প্রতি ভারতীয় সীমান্তে চিনের আগ্রাসনকে ভাল চোখে দেখছে না তারা। সেই সঙ্গে আমেরিকা পরিষ্কার করে দিয়েছে, তাদের কৌশলী অংশীদার দেশগুলির পাশেই দাঁড়াবে তারা।
২০২০ সালের গালওয়ান-কাণ্ডের পর থেকে লাদাখ (Ladakh) সীমান্তে ভারত ও চিনের মধ্যে উত্তেজনা আজও প্রশমিত হয়নি। শিগগিরি সেনা স্তরে ১৪তম বৈঠক করতে চলেছে দুই দেশ। তার ঠিক আগেই হোয়াইট হাউসের সংবাদমাধ্যম সচিব জেন সাকির মাধ্যমে আমেরিকার এই ধরনের বার্তাকে তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।
[আরও পড়ুন: চিনের ঋণের বোঝা ও মুদ্রাস্ফীতির দাপট, দেউলিয়া হওয়ার পথে শ্রীলঙ্কা!]
সোমবারের সাংবাদিক সম্মেলনে সাকি পরিষ্কার করে দিয়েছেন, ভারত ও চিনের সীমান্ত সংঘর্ষের বিষয়টির দিকে কড়া নজর রেখেছে আমেরিকা। ঠিক কী বলেছেন তিনি? তাঁর কথায়, ‘‘ওই অঞ্চল ও গোটা বিশ্বের প্রতি বেজিংয়ের ব্যবহার সম্পর্কে আমরা নিশ্চিত। এর ফলে অস্থিরতার সৃষ্টি হচ্ছে। যেভাবে প্রতিবেশীদের আতঙ্কিত রাখার চেষ্টা করছে চিন তা আমরা নজরে রেখেছি। আমরা আমাদের অংশীদারদের পাশে রয়েছি। সীমান্ত সমস্যায় আলোচনা ও শান্তি বৈঠককে আমরা সব সময়ই সমর্থন করব।’’
উল্লেখ্য, ২০২০ থেকে পূর্ব লাদাখে মুখোমুখি ভারত ও চিনের সেনাবাহিনী। গালওয়ান উপত্যকায় রক্তাক্ত লড়াইয়ের পর থেকেই কার্যত বারুদের স্তূপে পরিণত হয় প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা (LAC)। পরবর্তী সময়ে বারবার আলোচনা হলেও শেষ পর্যন্ত চিনের আগ্রাসন কমেনি। এমনকী, প্যাংগং হ্রদে লালফৌজ সেতু তৈরি করছে বলেও জানা গিয়েছে। সব মিলিয়ে উত্তেজনা রয়েছে পুরোমাত্রায়। এই পরিস্থিতিতে আমেরিকার বার্তা চিনের উপরে চাপ সৃষ্টি করবে বলেই মনে করা হচ্ছে। এখন দেখার ভারতের সঙ্গে বেজিংয়ের পরবর্তী বৈঠকে কোনও রফাসূত্র বেরিয়ে আসে কিনা।