সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বেদে, পুরাণে বোনের হাতে যমের ভাইফোঁটা নেওয়ার কথা নেই! বরং, এ ব্যাপারে এগিয়ে রয়েছেন কৃষ্ণ!তাহলে ‘যমুনা দেয় যমকে ফোঁটা’র ব্যাপারটা কী?
বলছি বটে, ‘যমুনা দেয় যমকে ফোঁটা’! কিন্তু, যম আদৌ বোনের হাতে ভাইফোঁটা নিয়েছিলেন কি? দুই ভাই বোন, যম আর যমী, মতান্তরে যমুনার সম্পর্কের সূত্রে এই যে ভাইফোঁটার ছড়া, এর মধ্যে কোথাও একটা ফাঁক রয়ে গিয়েছে। সেটা বুঝতে হলে বেদের শরণাপন্ন হওয়া ছাড়া উপায় নেই! কেন না, বেদ গলা ফাটিয়ে বলেই চলেছে- যমী কস্মিনকালেও যমকে ভাইফোঁটা দেননি!
যম এবং তাঁর বোন যমীর কথা আমরা প্রথম পাচ্ছি ঋগ্বেদে। তাঁদেরকেই বলা হচ্ছে পৃথিবীর প্রথম পুরুষ এবং নারী। এখানেই শেষ নয়। যমই সেই মানুষ যাঁর পৃথিবীতে প্রথম মৃত্যু হয়। খেয়াল না করলেই নয়, এখানে বোনটির নাম কিন্তু যমী। যমুনা নয়। বেশি নয়, মাত্র তিনটি সূক্তে বলা হয়েছে এই যম-যমীর কথা। জানা যাচ্ছে, বিবস্বত অর্থাৎ সূর্যের যমজ পুত্র-কন্যা এই যম আর যমী। এর পরের সূক্তে যম আর যমীর সম্পর্ক নিয়ে যা বলছে বেদ, তাতে চমকে উঠতে হয়।
ঋগ্বেদের দশম মণ্ডলের দশম সূক্তের চোদ্দটি শ্লোক বলছে, এক নির্জন দ্বীপে এসে ভাই যমের সহবাস-অভিলাষিণী হলেন বোন যমী। তাঁকে বলতে শোনা গেল- “বিস্তীর্ণ সমুদ্রমধ্যবর্তী এ দ্বীপে এসে, এ নির্জন প্রদেশে তোমার সহবাসের জন্য আমি অভিলাষিণী!” যম কিন্তু বোনের সেই প্রস্তাব গ্রহণ করলেন না। তাঁর মনে হল, এ বিশুদ্ধ অজাচার (অজ অর্থে ছাগল বা নির্বোধ পশু; বোকা পাঁঠা যা করে, মানুষের কী তা করা সাজে)! যমী কিন্তু নিরস্ত হলেন না। তাঁর প্রতিযুক্তি ছিল, এই বিশ্বসৃষ্টিকারী ত্বষ্টা মাতৃগর্ভেই তাঁদের মিলনের সূচনা করেছেন। গর্ভে তাঁরা একত্র শয়ন করেছেন, অতএব গর্ভের বাইরেও তাতে অপরাধ নেই!
অতঃপর কী বললেন যম? যমীকে রাত্রি এবং যমকে দিন সম্বোধন করে ঋগ্বেদ যমের বকলমে বলছে, “যদি এক মুহূর্তের জন্য পরমেশ্বর পৃথিবীর সাধারণ অক্ষে ও কেন্দ্রবিন্দুতে সূর্যের গতি হ্রাস করে দেন এবং সূর্যের আলো যদি দিন ও রাত্রিতে থেমে যায়, তখন পৃথিবী এবং অন্তরীক্ষ একত্র হবে। এদের মতো তখন আমরাও (দিন ও রাত) একত্র হব, রাত্রি কোনও বাধা ছাড়া দিনের সঙ্গে দাম্পত্য মিলন উপভোগ করবে৷ হে রাত্রি! কিন্তু ওই সময় অনেক অনেক বছর পরে আসবে। যখন গতিপথ বিপরীতমুখী হবে, তখনই একত্রে এবং সহঅবস্থানে থাকা হবে অসঙ্গতিহীন৷ তাই এ সময়ের জন্য হে প্রিয়ে ও ভদ্রে, তোমার প্রেমের হাত আমি ছাড়া আর অন্য কারও প্রতি বাড়িয়ে দাও, যে হবে প্রকৃত পুরুষোচিত স্বামী৷”
কিন্তু, যমী নিরস্ত হলেন না। তিনি ক্ষুব্ধ হয়ে চলে গেলেন সেই নির্জন দ্বীপের অন্য প্রান্তে। ফিরেও এলেন কিছুক্ষণ পরেই! যমের বিরহ, খুব অল্প সময়ের জন্য হলেও তাঁর পক্ষে অসহনীয়। ফিরে এসে কিন্তু যমী চমকে উঠলেন। দেখলেন, একটি বৃক্ষতলে শুয়ে রয়েছেন যম। তাঁর দেহে প্রাণ নেই। রোরুদ্যমানা যমীর বিরহদশা দূর করতে তখন তৎপর হলেন দেবতারা। তাঁরা যমীকে সান্ত্বনা দিলেন, কিন্তু তাঁর কান্না বন্ধ হল না। তখন যমীর শোক অপনোদনের জন্য দেবতারা দিন ও রাত- এই দুই ভাগে বিভক্ত করলেন সময়কে। যমীও যমহীন সময়বিভাগ ও কালের মাহাত্ম্য উপলব্ধি করে চোখের জল মুছলেন!
লক্ষ্যণীয়, এই কাহিনি কোথাও যমীর হাতে যমের ভাইফোঁটা নেওয়ার কথা বলছে না। কেন না, যমের মৃত্যু হয়েছে! অতএব, ভাইফোঁটা নেওয়ার অবকাশই নেই! এছাড়া, এই ভাইফোঁটা না নেওয়ার কারণ বুঝতে হলে একটু তাকাতে হবে বেদের ভাষ্যকারদের মতের দিকেও। যেমন, ব্যাকরণকে শ্রেণিবদ্ধ করেছিলেন যে পাণিনি, তিনি যম এবং যমী শব্দদুটির ব্যাখ্যা করেছেন দাম্পত্যের সূত্রে। তাঁর মতে, দাম্পত্যে মিলনের উপযোগী পুরুষ বা স্বামীর বিশেষণ যম। বিপরীতে, যমী একান্তভাবেই স্ত্রী! বৈদিক শব্দকোষ পাণিনির এই ব্যাখ্যাকে সমর্থন করেছে।
আবার শতপথ ব্রাহ্মণ, গোপথ ব্রাহ্মণ এবং তৈত্তিরীয় সংহিতা যম-যমীর অর্থ করেছে আগুন আর পৃথিবী। মহর্ষি যাস্ক, যিনি বেদের ব্যাখ্যাকার রূপে সুপ্রসিদ্ধ, তাঁর রয়েছে অন্য এক ব্যাখ্যা। বেদের সূক্ত, যা যমকে দিন এবং যমীকে রাত্রি অভিধা দিয়েছে, তা অবলম্বন করে কী বলছেন তিনি? বলছেন, এই যে যম যমীর সঙ্গে মিলিত হতে পারল না, তার কারণটা নিহিত রয়েছে ওই দিন-রাত্রি শব্দে এবং সূর্যের অবস্থানে। খেয়াল করলে দেখা যায়, যম তো সে কথাই বলছেন যমীকে। যতক্ষণ সূর্য পৃথিবী এবং আপন কক্ষে ঘুরবে, ততক্ষণ দিন আর রাতের প্রভেদ থাকবেই। কিন্তু, তারা মিলিত হবেই! সেটাও কেউ আটকাতে পারবে না। সেই সময় একান্ত ভাবেই ধ্বংসপর্ব, যখন পৃথিবীর চার পাশে গ্রহ-নক্ষত্রের বিন্যাস আর এক থাকবে না। এখানেও ভাইফোঁটা প্রসঙ্গ আসার সুযোগ নেই!
ও দিকে, ঋগ্বেদ না বললেও যম আর যমীকে স্ত্রী-পুরুষের সম্পর্কে বাঁধছে কিছু পুরাণ। তারা বলছে, দিন এবং রাত্রি স্বামী-স্ত্রীর মতোই পরস্পরের পরিপূরক। অতএব, দিনরূপী যমের স্ত্রী হিসেবে রাত্রিরূপী যমীকে অস্বীকার করা অর্থহীন। এই মতে সায় দিচ্ছে বৌদ্ধধর্মের তান্ত্রিক শাখা বজ্রযানও। বজ্রযানী বৌদ্ধ ধর্মে যমের নাম বজ্রসত্ত্ব। তাঁর মূর্তিটি সর্বদাই যূগনদ্ধ অর্থাৎ নারী-পুরুষের মিলিত রূপ। সেখানে আমরা দেখছি যম আর যমীকে আলিঙ্গনরত অবস্থায়, যমীর মুখচুম্বনে উদ্যত হয়েছেন যম। ভাইফোঁটার কোনও স্থান সেখানেও নেই।
যম আর যমীকে ভাই-বোন হিসেবে না দেখে যদি নারী-পুরুষ বলেই ভাবতে হয়, তাহলে হিন্দু পুরাণের আরেকটি দিকে দৃষ্টিপাত করতে হবে। তাকাতে হবে বিষ্ণু এবং তাঁর অবতার কৃষ্ণের দিকে। দক্ষিণ ভারতের বেশ কিছু অঞ্চলে যমের যে মূর্তিটি কল্পনা করা হয়, তার সঙ্গে বিষ্ণুর সাদৃশ্য রয়েছে। সেখানে মৃত্যুর দেবতা হিসেবে যম মহিষবাহন ঠিকই, কিন্তু তাঁর গায়ের রং বিষ্ণুর মতো নীল। অন্য দিকে, বিষ্ণুর মতো তিনিও চতুর্ভুজ এবং পীতবসনধারী। আবার শ্রীমদভাগবত বলছে, কৃষ্ণের আটজন প্রধানা মহিষীর কথা। তাঁর মধ্যে অন্যতমা পত্নী যমুনা। এভাবেই কি বিষ্ণু আর কৃষ্ণের সঙ্গে কোথাও একটা গিয়ে এক হয়ে যাচ্ছেন যম এবং যমুনা হয়ে উঠছেন তাঁর স্ত্রী?
সন্দেহ উঠলেও নির্বিবাদে আবার এ কথা মেনে নেওয়া যাবে না। কেন না, বেদ যেখানে শেষ করেছে যমীর কথা, পুরাণ সেখান থেকেই শুরু করেছে যমুনার আখ্যান। তফাতটা কোথায়? না, যতক্ষণ পর্যন্ত যমের মৃত্যু হয়নি, ততক্ষণ তিনি ছিলেন যমী। অতঃপর মৃত্যুর পরে দেবতাদের আশীর্বাদে যম হলেন প্রধান লোকপাল, নরকের রাজা। আর তাঁর বিরহে কাতর হয়ে চোখের জলের ধারা নিয়ে যমুনা নদী হয়ে বয়ে গেলেন পৃথিবীতে। তাঁর বিবাহ হল কৃষ্ণের সঙ্গে। মতান্তরে, বলরামের সঙ্গে। কেমন যমুনার সেই বিবাহের কথা? পুরাণ বলছে, একদা যমুনাতটে এক উৎসব চলছিল যাদবদের। সেখানে অকুণ্ঠ মদ্যপান করে এবং কৌতুকক্রীড়া শেষে ক্লান্ত, ঘর্মাক্ত হয়ে পড়লেন বলরাম। তিনি তখন শ্রান্তি অপনোদনের জন্য ডাক দিলেন যমুনাকে। বললেন, “হে যমুনে, তুমি আমার কাছে এসো। আমি তোমার জলধারা আলিঙ্গন করে তাপ জুড়াই!”
যমুনা অবশ্য বলরামের কথায় কান দেননি! একে তিনি নেশাগ্রস্ত, তার উপরে ঘর্মাক্ত-কলেবর, পরপুরুষও বটে! সব মিলিয়ে বলরামের বাহুবন্ধনে যাওয়া তাঁর অভিপ্রেত নয়। কিন্তু, যমুনাকে আসতে হল অনিচ্ছাসত্ত্বেও। কিছুক্ষণ অপেক্ষা করে বলরাম নিজেই উন্মত্ত হয়ে লাঙলের ডগায় টেনে আনলেন যমুনার জলধারা। তাঁকে বাহুবন্ধনে বাঁধলেন। সেই থেকে তিনি বলরামের স্ত্রী। এই জায়গা থেকে আর যমী নয়, বোনটিকে আমরা দেখব এবং চিনব যমুনা বলেই। আর সেই বিবাহিতা যমুনার উপাখ্যানে পাব ভাইফোঁটার প্রসঙ্গ। যা নিতান্ত লোককথা। যার কোনও বৈদিক বা পৌরাণিক ভিত্তি নেই।
সেই কথা বলছে, যমুনার শোকের পর্ব সমাপ্ত হয়েছে। তিনি জানেন, মৃত্যুর পরেও ভাই তাঁর ধারণ করেছেন শরীর। যম এখন নরকের রাজা। ফলে, তিনি আমন্ত্রণ পাঠালেন যমের কাছে। তাঁকে দেখার জন্য। যম যে দিন এসেছিলেন যমুনার কাছে, সেই দিনটি ছিল এই কার্তিক মাসের শুক্লপক্ষের দ্বিতীয়া তিথি। ভ্রাতা এই দ্বিতীয়া তিথিতে এলেন বলেই তার নাম ভ্রাতৃদ্বিতীয়া। যমকে দেখে তখন যমুনা কী করলেন? না, স্বাগত জানাবার জন্য তাঁর কপালে পরিয়ে দিলেন টীকা! তাঁকে খেতে দিলেন নানা সুস্বাদু মিষ্টান্ন। তৃপ্ত যম কথা দিলেন, যমুনার দেখাদেখি যে নারী এই ব্রত করবে, তার ভাইয়ের আয়ু বৃদ্ধি পাবে। যমের মতো সে অকালে বোনকে ছেড়ে চলে যাবে না। এভাবে ঋগ্বেদের আখ্যানকে লোকাচারে বাঁধল লোককথা।
ফের হোঁচট খেতে হয়। ভাইকে স্বাগত জানাবার এই এক প্রথার কথা শোনা যায় কৃষ্ণ আর সুভদ্রার উপাখ্যানেও। সেই কাহিনি বলে, ধনত্রয়োদশীর পরের দিন চতুর্দশী তিথিতে নরকাসুরকে বধ করলেন কৃষ্ণ। তার পর প্রাগজ্যোতিষপুর থেকে দ্বারকায় ফিরে এলেন দ্বিতীয়া তিথিতে। কৃষ্ণকে দেখে সুভদ্রার উচ্ছ্বাস বাধা মানল না। তিনি বরাবরই কৃষ্ণের আদরের বোন। এই কয়েকদিন তিনি দাদাকে দেখতে পাননি। তার উপর আবার খবর পেয়েছেন সুভদ্রা, নরকাসুরের অস্ত্রের আঘাতে আহত হয়েছেন কৃষ্ণ। অতএব, দ্বারকা পৌঁছতেই কৃষ্ণকে তিনি বসালেন আসনে। তাঁর কপালে পরিয়ে দিলেন বিজয়তিলক। এবং, মুখমিষ্টি করালেন। সেই প্রথাই স্বীকৃত হল ভ্রাতৃদ্বিতীয়া বা ভাইফোঁটা নামে।
বলাই বাহুল্য, এও লৌকিক উপাখ্যান। এরও কোনও পুরাণগত ভিত্তি নেই। কিন্তু, সেই সব ছাড়িয়ে আশ্চর্য ব্যাপারটা রয়েছে অন্যত্র। যম আর যমী কতটা ভাই-বোন, সে নিয়ে আমাদের ধন্দ ঘুচছে না। কৃষ্ণ-সুভদ্রার বেলায় আমাদের সে সন্দেহ নেই। তার পরেও কেন ভাইফোঁটার ছড়ায় জায়গা পাচ্ছেন যম আর যমুনাই? কৃষ্ণ আর সুভদ্রা নয় কেন? ভারতের সবচেয়ে পবিত্র মন্দিরগুলোর একটিতে, নীলাচলক্ষেত্রে দাদা কৃষ্ণ-বলরামের সঙ্গেই অবস্থান করছেন সুভদ্রা। আবার, ভাগবত-মহাভারত ধরলে তিনি জীবনের অধিকাংশ সময়টাই কাটিয়েছেন দাদাদের সঙ্গে দ্বারকায়। অর্জুনের সঙ্গে স্বামীগৃহে গিয়েছিলেন মাত্র একবার! এত কিছুর পরেও তাঁদের ছাড়িয়ে কেন অগ্রাধিকার পেলেন যম-যমুনা? সে কথায় আসার আগে একটা হিসেব সেরে নিতে হবে।
কূটকচালি বলছে, ভাইফোঁটাকে দেখা যেতে পারে সূর্য-সংক্রান্ত উৎসবের প্রেক্ষিতেও। এই যে চন্দনের ফোঁটা দেওয়া, সে আদতে সূর্যের রূপক। অবাঙালিরা যে রোলির তিলক আঁকেন, তার লাল রঙেও নিহিত রয়েছে সূর্যের তেজ। ধান-দূর্বা বা চালের অনুষঙ্গেও ফিরে আসছে সূর্যের দেওয়া জীবনের আশ্বাস। সূর্যকিরণে পরিপুষ্ট হয় শস্য, সেই শস্যে জীবনধারণ করে মানুষ। এভাবেই যম বা মৃত্যুকে ঠেকিয়ে রাখা! কেন না, যে ঋতুতে এই উৎসব, সেই হেমন্তের পরেই আসবে প্রবল শীত। তখন তাপমাত্রা কম্পাঙ্কের নিচে নামবে, শৈত্যে মৃত্যু হবে কিছু মানুষের। সেই শৈত্য থেকে এভাবেই প্রিয়জনকে দূরে রাখা!
তাছাড়া, এই কার্তিকের মাপা সময়েই সূর্যের দক্ষিণায়ন ঘটে। উত্তর দিকের অয়নান্তরেখা বা কর্কটক্রান্তিরেখা থেকে এই সময়ে সূর্য ক্রমশ দক্ষিণে সরে যায়। একুশে জুন থেকে বাইশে ডিসেম্বর পর্যন্ত সূর্যের এই দক্ষিণায়নের মেয়াদ। লক্ষ্যণীয় বিষয়, পুরাণ বলছে, যম দক্ষিণ দিকের লোকপাল বা অধিপতি। এভাবেই সূর্যের দক্ষিণায়ন এবং সেই সময়ের উৎসবের সঙ্গে জুড়ে গেলেন যম। পাশাপাশি চোখ রাখতে হবে আরও একটা বিষয়ের দিকে। এই সময়ে দিন ছোট হয়, বাড়তে থাকে রাত্রির কাল। ঋগ্বেদে যমকে দিন আর যমীকে রাত্রি বলা হয়েছে না? দিন ছোট হয়ে যাওয়ার রূপকে কি ঋগ্বেদে এভাবেই যমের মৃত্যুর কথা বলা হল? তার সঙ্গে শীতের প্রসঙ্গ এনে, আরও কাহিনি জুড়ে কালক্রমে একটা ভাই-বোনের গল্প কি তৈরি করল লোকাচার?
স্পষ্ট উত্তর মিলছে না! শুধু সন্দেহ থেকেই যাচ্ছে- যম ভাইফোঁটা নিয়েছিলেন তো?
The post যমুনা যমকে আদৌ ভাইফোঁটা দিয়েছিলেন তো, কী বলছে পুরাণ? appeared first on Sangbad Pratidin.