সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: এমাসের গোড়াতেই বিরাট লাফ দিয়েছিল ভারতের শেয়ার বাজার। ৮০ হাজারের গণ্ডি পার করেছিল সেনসেক্স। একইভাবে বেড়েছিল নিফটি ফিফটিও। কিন্তু বৃহস্পতিবার চূড়ান্ত অস্থিরতা দেখা গেল শেয়ার বাজারে।
দিনের শুরুতেই যেখানে ৮০ হাজারের উপরেই ছিল সেনসেক্স, তা দিনের শেষে এসে দাঁড়িয়েছে ৭৯ হাজারের সামান্য বেশিতে। সব মিলিয়ে পতন ১১৯০.৩৪ পয়েন্টে। অন্যদিকে নিফটি ফিফটিও ৩৬০.৭৫ পয়েন্ট পড়ে দাঁড়িয়েছে ২৩ হাজার ৯১৪.১৫ পয়েন্টে। শতাংশের নিরিখে যা ১.৪৯। এই সপ্তাহের প্রতিদিনই এই অস্থিরতা লক্ষ করা যাচ্ছে।
কেন এই পরিস্থিতি? বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ট্রাম্পের জয়ের পর থেকেই দারুণ চাঙ্গা মার্কিন বাজার। এই গতি ভারতের বাজারকেও সাহায্য করছিল। কিন্তু বৃহস্পতিবার মার্কিন বাজারের ঝাঁপ বন্ধ ছিল। আর তাই আন্তর্জাতিক পরিস্থিতি বুঝতে না পেরে লগ্নিকারীর ঝুঁকি নিতে চাননি। এই প্রবণতারই প্রভাব পড়েছে শেয়ার বাজারে। তাছাড়া ইউক্রেনে রাশিয়ার ক্রুজ মিসাইল হামলার মতো ঘটনার প্রভাবও পড়েছে আন্তর্জাতিক বাজারে। এই পরিস্থিতিতে ডিসেম্বরে আমেরিকায় ফেডেরাল ওপেন মার্কেট কমিটির বৈঠকেও সুদের হার কমার সম্ভাবনা নেই। যা লগ্নিকারীদের আত্মবিশ্বাসে ফাটল ধরিয়েছে। এরই ফলশ্রুতি, শেয়ার বাজারের অস্থিরতা। এমনটাই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। সবচেয়ে বড় কথা, বৈশ্বিক পরিস্থিতিতে এমন এক অনিশ্চয়তা রয়েছে এই মুহূর্তে, যা লগ্নিকারীদের বাধ্য করছে কম ঝুঁকি নিয়ে লগ্নি সুরক্ষিত রাখার দিকেই।
অক্টোবরেও দেখা গিয়েছিল, ধুঁকছে দেশের শেয়ারবাজার। ভারতের বাজার থেকে বিনিয়োগ কমাচ্ছিলেন বিদেশি বিনিয়োগকারীরা। তবে ইঙ্গিত ছিল, মার্কিন নির্বাচনে ডোনাল্ড ট্রাম্প জয়ী হলে ঘুরে দাঁড়াবে দালাল স্ট্রিট। এর পর কমলা হ্যারিসকে ছাপিয়ে ট্রাম্পের বিজয়রথ যত এগোতে থাকে ভারতের বাজারেও তার প্রভাব পড়তে শুরু করে। কিন্তু ফের বদলাচ্ছে অবস্থা। আর তাই ফের এমন অবস্থা দালাল স্ট্রিটে।