সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মেয়েরা, রাতের দখল নাও। গত কয়েকদিন ধরে এই পোস্টারে ছয়লাপ সোশাল মিডিয়া। আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসকের মৃত্যুতে উত্তাল গোটা রাজ্য। কর্তব্যরত অবস্থায় তরুণীর এমন মর্মান্তিক পরিণতি হল কেন, সেই বিচার চেয়ে, পথে নামার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন মহিলারা। বাংলার এই সাহসিনীদের সঙ্গে মিলে গেল লন্ডন-আটলান্টাও। ভারত থেকে বহুদূরে অবস্থিত এই দুই শহরেও ছড়িয়ে গেল প্রতিবাদের ধ্বনি।
স্কটল্যান্ডের এডেনবার্গে প্রতিবাদ।
স্বাধীনতা দিবসের আগের রাতে আর জি করের তরুণীর বিচার চেয়ে সরব হল লন্ডন। সেখানকার স্থানীয় সময় সন্ধে সাতটা নাগাদ জমায়েত হন প্রতিবাদীরা। হান্সলো হাই স্ট্রিটের ট্রিনিটি কলেজে একজোট হয়ে তরুণীর সুবিচারের দাবিতে সরব হন সকলে। প্রায় একই ছবি ধরা পড়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আটলান্টাতেও। মূলত বাঙালিদের উদ্যোগেই সেখানে সন্ধে সাড়ে ছটা থেকে আয়োজিত হয় প্রতিবাদ কর্মসূচি। অন্তত ১০০ জন প্রতিবাদী শামিল হয়েছিলেন সেখানে।
[আরও পড়ুন: ‘সহ্যের সীমা ছাড়িয়ে গিয়েছে’, আর জি করের ‘গুণ্ডামি’কে তোপ অভিষেকের]
উল্লেখ্য, আর জি করের মর্মান্তিক ঘটনায় প্রতিবাদের আগুন জ্বলে উঠেছে মশালের মতো। এই আগুন বুকে নিয়েই ১৪ আগস্ট মেয়েদের ‘রাত দখল’ (Reclaim The Night) অভিযানের ডাক দেওয়া হয়। ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, হোয়াটসঅ্যাপে দাবানলের মতো ছড়িয়ে পড়ে পোস্টার। আট থেকে আশি, সমস্ত মহিলারা নেমে পড়েন প্রতিবাদে। কলকাতা থেকে জেলা- পিছিয়ে থাকেননি কোনও অংশের মহিলারাই।
আর জি কর হাসপাতালে ঘটনার পর অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ নাকি বলেছিলেন, “অত রাতে মেয়েটির একা থাকা ঠিক হয়নি।” এতেই শোরগোল পড়ে যায়। প্রশ্ন ওঠে, কেন আজও নারীরা সকাল-সন্ধে হোক বা রাত, নির্দ্ধিধায় পথেঘাটে বেরতে পারবে না? রাতে স্বাধীন বিচারণের অধিকার কি শুধু পুরুষের হাতে? সেই প্রেক্ষিতেই নারীদের রাত দখল করার এই অভিযানের ডাক দেওয়া হয়।