সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দাবদাহের দাপট সর্বত্র৷ এমনকী গরমের হলকায় পুড়ছে ইউরোপের বিস্তীর্ণ অংশ৷ তাপমাত্রার পারদ দিনদিন রেকর্ড ছুঁয়ে ফেলছে৷ বছরের অর্ধেকেরও বেশি সময় সোয়েটার, জ্যাকেট পরে থাকা বাসিন্দারা ইদানিং স্বল্পবাসে ডুব দিচ্ছেন জলাশয়ে, গরম থেকে বাঁচতে৷
[আরও পড়ুন: অবশেষ মুক্তি পেলেন ইরানে আটক ৯ ভারতীয় নাবিক ]
এসব তো গেল জনজীবনের দৈনন্দিন সমস্যার কথা৷ কিন্তু গোটা ইউরোপ মহাদেশ জুড়ে সূর্যরশ্মির এই অত্যাচার গোটা পৃথিবীর কতটা ক্ষতি করছে, তা আন্দাজও করতে পারবেন না আপনি৷ রাষ্ট্রসংঘের পরিবেশ বিভাগের একটি গবেষণা বলছে, বরফে মোড়া গ্রিনল্যান্ড ফুঁড়ে ঢুকে যাচ্ছে সূর্যের প্রখর রশ্মি৷ আর তাতেই গলে যাচ্ছে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম বরফের চাদর৷ ক্লেয়ার নালিস, জেনেভায় রাষ্ট্রসংঘের পরিবেশ সংগঠনের মুখপাত্র জানাচ্ছেন, ‘আবহাওয়া পরিবর্তনের ফলে উত্তর আফ্রিকা থেকে উষ্ণ হাওয়া গতিপথ বদলে ক্রমশ ইউরোপের দিকে ধাবিত হচ্ছে৷ তাতে গড় তাপমাত্রা ২ থকে ৪ ডিগ্রি করে বাড়ছে, যা অবিশ্বাস্য৷ তার শিকার হচ্ছে গ্রিনল্যান্ডও৷’ ২০১২ সালেও এমনই তাপমাত্রার পারদ উঠেছিল ইউরোপে৷ তবে এবারেরটা সেই রেকর্ডও ছাড়িয়ে যাবে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন তিনি৷ গ্রিনল্যান্ডে প্রতিদিন কতটা বরফের স্তর গলছে, সেই হিসেবও তুলে ধরেছে নালিস৷ শুধুমাত্র জুলাই মাসেই নাকি ১৬০ বিলিয়ন টন বরফ গলে গিয়েছে৷ এটা শুধুমাত্র উপরিতলের বরফ৷ এরপর আবার সমুদ্রগর্ভের বরফস্তরও আছে, যেটাও নিয়মিত গলছে৷
[আরও পড়ুন: শ্রীলঙ্কায় সেনা-আইএস গুলির লড়াই, নিহত অন্তত ১৫]
গ্রিনল্যান্ডের বরফের স্তর বিশ্বের প্রায় ৮০ শতাংশ এঞ্চল ঢেকে রয়েছে৷ হাজার হাজার বছর ধরে তা জমে জমে এমন পর্যায়ে এসেছে৷ বরফের এই স্তূপটির উচ্চতা ছুঁয়েছিল ৩ কিলোমিটার পর্যন্ত৷ এই বরফ গলতে থাকলে সমুদ্রতলের উচ্চতা ৭ মিটার করে বাড়বে৷ সেইসঙ্গে এও জানা যাচ্ছে, এতদিন এই আবহাওয়ার খামখেয়ালিপনার প্রভাব থেকে নিজেকে বাঁচিয়ে রেখেছিল গ্রিনল্যান্ড৷ সম্প্রতি কয়েক সপ্তাহে হু হু করে বরফ গলিয়ে দিয়েছে সূর্যের তেজ৷ এই বিষয়টিকে ‘ম্যানমেড ক্লাইমেট চেঞ্জ’ বলে চিহ্নিত করছে রাষ্ট্রসংঘ৷ ব্রিটেনের একটি পরিসংখ্যান বলছে, ২০৫০ সালের মধ্যে প্রতি বছরই রেকর্ড ভাঙতে ভাঙতে এগিয়ে যাবে দাবদাহ৷ গ্রিনল্যান্ডের বুক থেকে ধীরে ধীরে সরে যাবে বরফের চাদর৷
The post সূর্যতেজে গলছে চাদর, রেকর্ড তাপমাত্রায় গ্রিনল্যান্ডের বরফ গলে জল appeared first on Sangbad Pratidin.