সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: করোনা (Corona Virus) ঠেকাতে একের পর এক ঘরোয়া টোটকার কথা উঠে এসেছে। চর্চায় ফিরেছে, পুরনো কবিরাজি-হোমিওপ্যাথির নানা পথ্যও। আর এবার জোর চর্চায় লাল পিঁপড়ের চাটনি। দাবি, এই চাটনিতে নাকি করোনা ঠেকানোর উপাদান রয়েছে। এ বিষয়ে বিস্তারিত জানাতে আয়ুশ মন্ত্রককে (Ayush Ministry) নির্দেশ দিয়েছে হাই কোর্ট।
ভাবছেন তো, বিষয়টা কী? সাধারণত ওড়িশা, ছত্তিশগড়ের আদিবাসীদের মধ্যে প্রচলিত পথ্য এই লাল পিঁপড়ের চাটনি (Red Ant Chutney)। লাল পিঁপড়ে ও সবুজ কাঁচালঙ্কার মিশ্রণে তৈরি এই খাবার। যা জ্বর, সর্দি, কাশির মতো রোগকে ঠেকাতে ভীষণই উপকারী বলে দাবি করেন আদিবাসীরা। এবার সেই পথ্যের জোরে কি নোভেল করোনা ভাইরাস ঠেকানো যাবে? তা জানতে চেয়েছিলেন ওড়িশার বারিপদার এক ইঞ্জিনিয়ার নয়াধর পাধিয়াল।
[আরও পড়ুন : করোনা টিকা দেওয়ার আগে দেশে ভ্যাকসিন-প্রতারণা চক্র! সতর্ক করছে পুলিশ]
নিজেকে গবেষক বলে দাবি করা পাধিয়াল জুনে আয়ুশ মন্ত্রকের কাছে জানতে চেয়েছিলেন, লাল পিঁপড়ের চাটনি কি করোনা ভাইরাস সংক্রমণ রুখতে কার্যকরী ভূমিকা নেবে? কিন্তু তিন মাস পরেও মন্ত্রকের তরফে কোনও সাড়া না পেয়ে ওড়িশা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হন তিনি। বলেন, “করোনা মোকাবিলায় লাল পিঁপড়ের চাটনির কার্যকারিতা, ক্ষমতা নিয়ে গবেষণার প্রস্তাব দিয়েছিলাম, কিন্তু তা ফেলে রাখা হয়েছে। কোনও পদক্ষেপই করা হয়নি। তাই আদালতের হস্তক্ষেপ চাইছি।” এই আবেদনের ভিত্তিতে হাই কোর্ট আয়ুশ মন্ত্রক ও কাউন্সিল ফর সায়েন্টিফিক অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিয়াল রিসার্চ (সিএসআইআর)কে তিন মাসের মধ্যে রিপোর্ট দিতে বলেছে।
এই জনস্বার্থ মামলার আবেদন খারিজ করে ওড়িশা হাই কোর্ট বলে, “এই আবেদনের যৌক্তিকতা নিয়ে কোনও মতামত দিচ্ছে না আদালত। তবে আয়ুশ মন্ত্রকের ডিরেক্টর জেনারেল ও সিএসআইআর-এর ডিরেক্টর জেনারেলকে আবেদনকারীর পেশ করার আবেদন নিয়ে যথাযথ সিদ্ধান্ত জানাতে বলা হল। এই সিদ্ধান্ত জানাতে তিন মাস সময় দিল হাই কোর্ট।
[আরও পড়ুন : ভ্যাকসিন ছাড়পত্র পাওয়ার পরদিনই কমল দৈনিক করোনা সংক্রমণ, স্বস্তি অ্যাকটিভ কেসেও]
উল্লেখ্য, বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমকে আবেদনকারী নয়াধর পাধিয়াল জানিয়েছেন, পিঁপড়ের চাটনিতে ফরমিক অ্যাসিড, প্রোটিন, ক্যালসিয়াম, ভিটামিন বি-১২, জিঙ্ক, আয়রনের মতো উপাদান আছে। এই উপাদান রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়ায়। পূর্ব ভারতের বিভিন্ন রাজ্যের আদিবাসীদের মধ্যে এই পদটির চাহিদা রয়েছে। পাধিয়ালের ধারণা, এই চাটনি ব্যবহারের জেরেই আদিবাসীদের মধ্যে করোনা সংক্রমণ অনেকটাই কম। তাঁর ধারণা সত্যি বলে প্রমাণিত হলে এই জনপ্রিয় রেসিপি করোনা ঠেকাতে দারুণ কাজের হয়ে উঠতে পারে।