সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সারা বছরের অপেক্ষা বচ্ছরকার চার দিনের জন্য। ২১ সেপ্টেম্বর মহালয়া, দেবীপক্ষের শুরু। এবছরের ২৯ সেপ্টেম্বর থেকে ২ অক্টোবর সেই চারটে দিন। পুজো এলেই যে প্রশ্নটি আসে, তা হল এবার দেবীর আগমন ও গমন কোন বাহনে? কিন্তু আদৌ কি এর সঙ্গে শুভ-অশুভর যোগ রয়েছে?
শাস্ত্র অনুযায়ী এবার দেবীর আগমন গজে। এটি শান্তি ও সমৃদ্ধির প্রতীক। গজে আগমন হলে বসুন্ধরা শস্য শ্যামলা হয়ে ওঠে। গমন দোলায়। ফল মহামারী বা মড়ক। কিন্তু এই শুভ-অশুভর যোগ কি সত্যিই হয়? কীভাবেই বা তা নির্ধারিত হয়?
বিখ্যাত ইতিহাসবিদ, মহাকাব্য ও পুরাণ বিশেষজ্ঞ নৃসিংহপ্রসাদ ভাদুড়ীর মতে, দেবীর আগমন ও গমন কখনও অমঙ্গলের হতে পারে না। মা আসছেন। বাপের বাড়িতে কদিন থেকে ফিরে যাবেন। এই আসা কখনওই অমঙ্গলের সূচক হতেই পারে না। অনেকে আবার বারের হিসেবে গমন ও আগমনের হিসেব করেন। তাঁর মতে, বারের হিসেবে গমন ও আগমনের হিসেব করাটা অর্থহীন। সোমবার শিবপুজো করার মতো বিষয়কে যেভাবে ব্যাখ্যা করা যায়, সেভাবে কিন্তু দেবী দুর্গার গমন ও আগমনের হিসেবের বিষয়টিকে ব্যাখ্যা করা যায় না। তাছাড়া কৃষ্ণদাস কবিরাজের ‘চৈতন্যচরিতামৃত’ উদ্ধৃত করে তিনি বলছেন, ‘তারে জানে সুকৃতি যে দোলা-ঘোড়া চড়ে।’ অর্থাৎ সুকর্ম করেছে সেই মানুষটি, যে দোলা ও ঘোড়ায় চড়ে। এখানে দোলা মানে কিন্তু নাগরদোলা নয়। পালকি। সুতরাং দোলায় চড়া এক্ষেত্রে শুভ। তাহলে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে তা বদলে গেল কেন? সুতরাং এই ভাবে হিসেব করা ঠিক নয়। দেবির আগমন ও গমন দুই-ই শুভ।
