shono
Advertisement

Chhath Puja 2021: সংসারে সুখ-সমৃদ্ধি চান? ছটপুজোয় এই নিয়মগুলি মানতে ভুলবেন না

ছটপুজোয় কী কী লাগে জানেন?
Posted: 11:14 AM Nov 10, 2021Updated: 03:41 PM Nov 10, 2021

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দুর্গাপুজো, কালীপুজোর পর এবার পালা ছটপুজোর (Chhath Puja)।  সুখে শান্তিতে দিন কাটানোর কামনা ছটপুজো করেন মূলত অবাঙালিরাই। কিন্তু ইচ্ছা হল আর পুজো করে ফেললেই তো পুণ্যার্জন হবে না। বরং নিয়ম মেনে সারুন ছটপুজো। তাতেই দেখবেন আপনার সংসার ভরে উঠবে সুখ-সমৃদ্ধিতে।

Advertisement

[আরও পড়ুন: আগামী বছর কোন তারিখে শুরু পুজো? জেনে নিন নির্ঘণ্ট]

দুর্গাপুজোর মতো ছটপুজোও চলে চারদিন। প্রথম দিন নহায় খায়, দ্বিতীয় দিন খরনা, তৃতীয় দিন সন্ধ্যা অর্ঘ্য, শেষ দিন সূর্যোদয় অর্ঘ্য। এই পুজোর রীতিনীতি বেশ কঠিন। সূর্য দেবতাকে সন্তুষ্ট করতে ছটের ডালা সাজানোই সবচেয়ে বড় কাজ। ‘ছটি’, ‘ছট পরব’, ‘ছট পূজা’, ‘ডালা ছট’, ‘ডালা পূজা’, ‘সূর্য ষষ্ঠী’র মতো নানা নামে পরিচিত ছটপুজো। বলা যায় সূর্যকে ধন্যবাদজ্ঞাপনের উৎসব ছটপুজো। তাই সূর্য দেবতার কাছে মানত করেন ভক্তরা। যাঁরা ব্রত রাখেন তাঁরা প্রায় ৪০ ঘন্টা একেবারে নির্জলা উপবাস করেন। উৎসবের শেষ দিন সূর্যোদয় অর্ঘ্যর পর প্রসাদ খান। পুজো পার্বণের সময় আমিষ নৈব নৈব চ!

একনজরে দেখে নেওয়া যাক ছটপুজোয় উপাচার হিসাবে কী কী লাগে। উৎসবের প্রথম দিন সকালে স্নান সেরে পরিষ্কার কাপড় পরে রান্না করেন মহিলারা। এদিন দুপুরের খাবারে থাকে লাউ ভাত। অর্থাৎ ভাতের সঙ্গে লাউয়ের তরকারি। সঙ্গে চানা ডাল এবং নানারকম সবজি। তবে এই সব রান্নায় নুন ব্যবহার করা যাবে না। যিনি ব্রত রাখেন তিনি ছাড়া এদিন পরিবারের সকলকেই দুপুরে লাউয়ের তরকারি দিয়ে ভাত খেতে হয়। তবে রাতে যেকোনও রকমের নিরামিষ খাবার খাওয়া যেতে পারে। উৎসবের দ্বিতীয় দিনটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। যিনি ব্রত রাখেন তিনি দিনভর উপবাস করেন। ওইদিন বাড়িতে সূর্য দেবতার পুজো করা হয়। উপাচার হিসাবে ক্ষীর, রুটি, কলা দেওয়া হয়। এরপর ছটপুজোর মূল উপকরণ ঠেকুয়া বানানোর কাজ শুরু হয়।

উৎসবের দ্বিতীয় রাত থেকে ছটের ডালা সাজানোর প্রস্তুতি চলে। তারপর বিকেলে জলাশয়ে গিয়ে ডুবন্ত সূর্যকে পুজো করা হয়। পুজো শেষে প্রদীপ জলাশয়ে ভাসিয়ে দেওয়া হয়। পুজোর ডালায় ফল ছাড়াও থাকে ঠেকুয়া। উৎসবের শেষ সকালে সূর্য ওঠার আগেই ব্রতপালনকারীরা আবার জলাশয়ে যান। সেখানে অর্ঘ্য দেন। তারপর পুজো শেষ হয়। পুজো শেষে বাড়ি আসার পরই খরনার সন্ধে থেকে প্রায় ৪০ ঘন্টা পর ঠেকুয়া, আদা, জল, গুড় খেয়ে উপবাস ভাঙেন।

[আরও পড়ুন: নারীকণ্ঠে চণ্ডীপাঠ কি আদৌ আপত্তিকর? কী বলছে সনাতন হিন্দু শাস্ত্র]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement