shono
Advertisement

জানেন, কীভাবে প্রাণপ্রতিষ্ঠা হয় মহিষাসুরমর্দিনীর?

পুজোর বাকি আর কয়েকদিন, জেনে নিন এই গুরুত্বপূর্ণ তথ্যগুলি। The post জানেন, কীভাবে প্রাণপ্রতিষ্ঠা হয় মহিষাসুরমর্দিনীর? appeared first on Sangbad Pratidin.
Posted: 08:22 PM Oct 01, 2018Updated: 08:22 PM Oct 01, 2018

আর দেরি নেই বাঙালির প্রাণের পুজোর। চণ্ডীতলায় ঢাক বেজে উঠল বলে। প্রতিমার কাজও প্রায় সাড়া। সর্বত্রই চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি। পুজোর আগে প্রাণপ্রতিষ্ঠার কাহিনি শোনাচ্ছেন অভিরূপ দাস৷

Advertisement

[দুর্গাপুজোয় কেন লাগে পতিতালয়ের মাটি?]

মূর্তির কথা: বাংলায় দেবী দুর্গার যে মূর্তিটি সচরাচর দেখা যায় সেটি পরিবারসমন্বিতা বা সপরিবার দুর্গার মূর্তি। এই মূর্তির মধ্যস্থলে দেবী দুর্গা সিংহবাহিনী অথবা মহিষাসুরমর্দিনী; তাঁর মুকুটের উপরে শিবের ছোট মুখ, দেবীর ডানপাশে উপরে থাকেন লক্ষ্মী ও নিচে গণেশ; বামপাশে উপরে দেবী সরস্বতী ও নিচে কার্তিক। কলকাতায় সাবর্ণ রায়চৌধুরি পরিবার প্রথম ১৬১০ সালে এই সপরিবার দুর্গার প্রচলন করেন । তাঁরা কার্তিকের রূপ দেন জমিদারপুত্রের, যা তৎপূর্বে ছিল সম্রাট সমুদ্রগুপ্তের আদলে যুদ্ধের দেবতা রূপে । কলকাতার কোনও কোনও বাড়িতে দুর্গোৎসবে লক্ষ্মী ও গণেশকে সরস্বতী ও কার্তিকের সঙ্গে স্থান বিনিময় করতে দেখা যায়। আবার কোথাও কোথাও দুর্গাকে শিবের কোলে বসে থাকতেও দেখা যায়।

কাঠামো তৈরি: ফি বছর রথযাত্রার দিন থেকে দুর্গা ঠাকুরের কাঠামো তৈরির কাজ শুরু হয়। প্রথম খড় বাঁধা হয় ওইদিনেই। মণ্ডপের দুর্গাঠাকুরের সামনে তো দিব্যি ঝলমলে জরির কাজ। সলমা, চুমকি। কিন্তু পিছনে গেলে দেখা যাবে বাঁশ আর কাঠের উপর দাঁড় করানো দেবীমূর্তি। এই বাঁশ আর কাঠের কাঠামো তৈরি করা হয় রথযাত্রার দিনেই। এইদিন যোগমায়াদেবীর আবির্ভাব দিবস। সে কারণেই এই দিনটিকে শুভ বলে মনে করেন কারিগররাও। তাই এই বিশেষ দিন থেকেই শুরু হয় পুজোর প্রথম সলতে পাকানোর কাজ।

[পুজো তো এসেই গেল, কলা বউ সম্পর্কে এই তথ্যগুলি জানেন?]

মাটির দেবতা: মা দুর্গার হাত আর মুখ তৈরি হয় বেলে আর এঁটেল মাটি মিশিয়ে। অনেক কাল আগে হুগলি থেকেই সেই মাটি আসত। বর্তমানে উলুবেড়িয়া থেকে আসে ওই মাটি। প্রথমে নিচের কাঠের তক্তা দিয়ে কাজ শুরু হয়। তারপরের অংশটিকে বলে ‘খিলোন’ করা। এই অংশে বাঁশ আর খড় দিয়ে কাঠামোর রূপ দেওয়া হয়। তারপর তার উপর দেওয়া হয় মাটির প্রলেপ। এই মাটির সঙ্গে মেশানো থাকে ধানের তুষ।

কীভাবে তৈরি হয় ঠাকুর: তুষ মেশানো এই মাটির প্রলেপকে কুমোরটুলির ভাষায় বলে ‘একমেটে’। ‘একমেটে’-র পর গঙ্গার পলিমাটি দিয়ে তৈরি হয় পরের প্রলেপ। এই প্রলেপকে বলে ‘দোমেটে’। ‘দোমেটে’ করার আগেই বানিয়ে নেওয়া হয় প্রতিমার মুখ। এরপর রোদে শুকোনো হয় মূর্তি। একে একে আলাদা করে বানানো হয় প্রতিমার হাতের ও পায়ের পাতা। সেগুলো লাগিয়ে দেওয়া হয় মূর্তির সঙ্গে। তারপর সুতির কাপড় কাদাতে ভিজিয়ে শুকিয়ে আসা মৃন্ময়ী প্রতিমার ফাটলগুলো সারিয়ে ফেলা হয়। এরপর তার উপর খড়ি দিয়ে সাদা রং করা হয়। সবশেষে করা হয় প্রতিমার রং। আর তার পরেই আঁকা হয় মায়ের চোখ। তবে যত সহজে লিখে ফেলা গেল কাজটি মোটেই তত সহজ নয়।

The post জানেন, কীভাবে প্রাণপ্রতিষ্ঠা হয় মহিষাসুরমর্দিনীর? appeared first on Sangbad Pratidin.

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement