সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গত শনিবার মাছ ধরতে গিয়ে নিখোঁজ হয়েছিলেন বৃদ্ধ মৎস্যজীবী। শেষ পর্যন্ত দু’টি বিরাটাকার কুমিরের পেট থেকে উদ্ধার হল ওই ব্যক্তির দেহ। এই ঘটনা অস্ট্রেলিয়ার (Australia) কুইন্সল্যান্ডের। মর্মান্তিক ঘটনার কথা প্রকাশ্যে আসতেই ভয়ে শিউরে উঠছেন এলাকার অন্য মৎস্যজীবীরা। উল্লেখ্য, কুইন্সল্যান্ডের ওই জাতীয় উদ্যানের জলাভূমি কুমির উপদ্রুত। একথা জেনেও সেখানে পেটের দাগিদে মাছ ধরতে যান মৎস্যজীবীরা। মৃত্যুর ঘটনায় বিষয়টি নিয়ে চিন্তায় পড়েছে প্রশাসন।
কুইন্সল্যান্ড পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত ব্যক্তি ৬৫ বছরের কেভিন ডারমোডি। উত্তর কুইন্সল্যান্ডের বাসিন্দা তিনি। একদল মৎস্যজীবীর সঙ্গে স্থানীয় লেকফিল্ড জাতীয় উদ্যানের কুমির উপদ্রুত জলাভূমিতে মাছ ধরতে গেছিলেন তিনি। একটা সময় কুমির হামলা চালায় মাছ ধরার নৌকোয়। জলে ছিটকে পড়েন কেভিন। সঙ্গীরা বাঁচানোর চেষ্টা করলেও সম্ভব হয়নি। দু’টি বিরাটাকার কুমির কেভিনকে খাবার বানায়। মৎস্যজীবীদের চিৎকার শুনে বনকর্মীদের নৌকো ছুটে আসে ঘটনাস্থলে। কুমির দু’টিকে গুলি করে মারা হয়।
[আরও পড়ুন: ‘তোমরা প্রধানমন্ত্রী হতে চাও না?’ ভোটমুখী কর্ণাটকে শিশুদের প্রশ্ন মোদির]
পরে দুই কুমিরের পেট কেটে বৃদ্ধের দেহ উদ্ধার করা হয়। ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে দেহাংশ। বুধবার কুইন্সল্যান্ড পুলিশ জানিয়েছে, খুনে দু’টি কুমির একটির দৈর্ঘ্য ছিল ১৪ ফুটি, অন্যটি নয় ফুট লম্বা। স্থানীয় পুলিশ আধিকারিক মার্ক হেন্ডেরসন বলেন, “অস্ট্রেলিয়া হল কুমিরের দেশ। বিশেষত কুমির সংরক্ষণের জন্য ঘোষিত লেকফিল্ডের জলাশয়। ফলে জলে যে কুমির থাকবেই এটা মাথায় রাখতে হবে আমাদের।”