সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: জন গণ মন… যে কোনও ভারতবাসী এ পর্যন্ত উচ্চারণ করলে পরে অবধারিত চলে আসে ‘অধিনায়ক’ শব্দটি। কিন্তু জাতীয় সংগীতের সেই শব্দটিকেই বদলের সুপারিশ হরিয়ানার মন্ত্রী অনিল ভিজের। তাঁর দাবি, ‘অধিনায়ক’ শব্দের অর্থ ডিক্টেটর বা একনায়ক। ভারতে তা কাম্য নয়। তাই এই শব্দ বদলের সময় এসেছে।
[ তৃতীয় ফ্রন্ট গঠনের তৎপরতা তুঙ্গে, মমতার দরবারে তেলেঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী ]
মন্ত্রীর এহেন দাবি অবশ্য হুট করে আসেনি। গত শুক্রবার কংগ্রেস সাংসদ রিপুণ বোরা সংসদে একটি প্রস্তাব আনেন। তাঁর মতে, জাতীয় সংগীত থেকে সিন্ধ বা সিন্ধু শব্দটি সরিয়ে দেওয়া উচিত। কেননা এ শব্দের এখন আর কোনও প্রাসঙ্গিকতা নেই। যেহেতু সিন্ধ আর ভারতের অন্তর্ভুক্ত নয়। বদলে তাঁর দাবি, উত্তর-পূর্বকে অন্তর্ভুক্ত করার। কেননা উত্তর-পূর্ব ভারতের গুরুত্বপূর্ণ অংশ। সাসংদের এ দাবি পূরণ হবে কিনা তা স্পষ্ট নয়। বস্তুত, ১৯১১-তে যখন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর গানটি লিখেছিলেন, তখন ভারতের মানচিত্রে সিন্ধ প্রাসঙ্গিক ছিল,গুরুত্বপূর্ণও ছিল। কিন্তু দেশভাগের পর এখন তা ভারতের অংশই নয়। তাহলে ভারতের জাতীয় সংগীতে এখনও কেন সিন্ধ থাকবে? সে প্রশ্নই তুলেছেন সাংসদ। তাঁর দাবি, উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলি ভারতের গুরুত্বপূর্ণ অংশ। অথচ জাতীয় সংগীতে তার কোনও উল্লেখই নেই। এটাও কাম্য নয়।
[ ফের নোট বাতিলের পথে মোদি সরকার! কী বলছে কেন্দ্র? ]
এবার এই কথার সূত্র ধরেই নয়া দাবি অনিল ভিজের। তাঁর মতে, অধিনায়ক শব্দটিও জাতীয় সংগীতে থাকা উচিত নয়। কেননা, অধিনায়ক মানে ডিক্টেটর বা একনায়ক। কিন্তু ভারত গণতন্ত্র চায়। কোনও রকম একনায়কতন্ত্র চায় না। তা বাঞ্ছনীয় নয়। তাহলে জাতীয় সংগীতে এই শব্দটিই বা থাকবে কেন? তাঁর মতে, ভাবনাচিন্তা করে এই শব্দটিকেই সরিয়ে ফেলা উচিত।
The post ‘জাতীয় সংগীত থেকে বাদ দেওয়া হোক অধিনায়ক শব্দটি’ appeared first on Sangbad Pratidin.