সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভিভিয়ান সিলভার। তিনি কানাডার বংশোদ্ভূত ইজরায়েলি সমাজকর্মী। বরাবরই আরব-ইহুদি সংঘাতের বিরোধী ছিলেন। চাইতেন যে কোনও ভাবে এই লড়াই বন্ধ হোক। গাজার ক্যানসার রোগীদের ইজরায়েলে চিকিৎসার বিষয়েও নিয়েছিলেন অগ্রণী ভূমিকা। কিন্তু গত ৭ অক্টোবর হামাসের হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন এই মানবাধিকার কর্মী। তবে সেই সময় মারা গেলেও সোমবার তাঁর দেহ শনাক্ত করতে পেরেছে পরিবার।
গত শতাব্দীর সাতের দশকে ইজরায়েলে চলে আসেন ভিভিয়ান। সেই তাঁকেই পণবন্দি করেছিল হামাস জঙ্গিরা। প্রায় ২৪০ জনকে বন্দি করে রাখা হয়েছিল। তাঁদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন ভিভিয়ান। পরে বেশ কয়েকজন পণবন্দির দেহ উদ্ধার হয়। সেই দেহগুলির মধ্যেই ছিল ভিভিয়ানের দেহ। কিন্তু যেহেতু অত্যন্ত ভয়ংকর ভাবে পুড়ে গিয়েছিল শরীর, তাই তাঁকে শনাক্ত করতে লেগে গেল প্রায় মাসখানেকেরও বেশি।
[আরও পড়ুন: মিজোরাম পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ মায়ানমার সেনার জওয়ানদের!]
ইজরায়েল রেডিওর সঙ্গে কথা বলার সময় তাঁর ছেলে জোনাথন জেইগেন শোকাচ্ছন্ন কণ্ঠে জানিয়েছেন, চেহারা খুব বড়সড় ছিল না ভিভিয়ানের। কিন্তু ছিল অদম্য প্রাণশক্তি। আর সেই শক্তিকে কাজে লাগিয়ে নিরন্তর কাজ করে চলতেন। তাঁর কথায়, ”৭ অক্টোবরের ঘটনায় ওঁর হৃদয় ভেঙে গিয়েছিল। সারা জীবন তিনি আমাদের সবাইকে এই সংঘাতের হাত থেকে বাঁচাতে লড়াই করেছেন। কিন্তু শেষপর্যন্ত তিনিই ঝলসে গেলেন সেই আগুনে।”
তবে মায়ের মৃত্যুতে ভেঙে পড়েও হাল ছাড়তে রাজি নন তিনি। জোনাথন জানাচ্ছেন, মনে হচ্ছে মা যেন হাতে ব্যাটন তুলে দিয়েছে তাঁকে। তাঁর মনে হচ্ছে এ এক অনন্ত রিলে রেস। আর সেই লড়াইকে এগিয়ে নিয়ে যেতেই দৃঢ়প্রতিজ্ঞ ভিভিয়ানের সন্তান। মায়ের প্রয়াণ তাঁকে সেই শক্তিই জোগাচ্ছে।