নব্যেন্দু হাজরা: যেমনটা আছে গোয়া, সিঙ্গাপুরে। তেমনটাই এবার চালু হচ্ছে দিঘা, মন্দারমণি, কলকাতা, শিলিগুড়ি, দার্জিলিংয়ে। পর্যটকদের সুবিধার্থে চালু হতে চলেছে ‘রেন্ট-আ-বাইক’। অর্থাৎ বাইক ভাড়া নিয়ে যেখানে খুশি ঘুরে বেড়াতে পারবেন পর্যটকরা।
শুক্রবার সল্টলেকে বাইক ট্যাক্সির পারমিট বিতরণ অনুষ্ঠানে একথা জানালেন রাজ্যের পরিবহণমন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তী। তিনি বলেন, ‘‘বেশ কিছু জায়গায় এই বাইক ভাড়া করে চালানোর বিষয়টি চালু রয়েছে। এবার এরাজ্যের চালু হল। উত্তরবঙ্গে কিছু চালু ছিল। এবার সেগুলোকেও আইনসিদ্ধ করা হচ্ছে। আলাদা পারমিট দেওয়া হবে। বহু মানুষ চান, কোথাও ঘুরতে গিয়ে নিজের মতো করে বাইক নিয়ে ঘুরতে। রেন্ট-আ-বাইক চালু হলে তাঁদের সুবিধা হবে।’’ জানা গিয়েছে, উত্তরবঙ্গের একটি সংস্থা ইতিমধ্যেই এবিষয়ে আগ্রহ দেখিয়েছে। এবার কলকাতা এবং দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন পর্যটনকেন্দ্রেও এই সুবিধা যাতে দেওয়া যায়, সেকারণেই রেন্ট আ বাইকের নয়া পারমিট দেওয়ার ব্যবস্থা করল পরিবহণ দপ্তর।
[আরও পড়ুন: আজ কৃষ্ণনগরে জনসভা মোদির, CAA নিয়ে অবস্থান কী? জানতে চান মতুয়ারা]
পাশাপাশি এদিন দেড়শোর বেশি বাইক ট্যাক্সি চালকের হাতে বাণিজ্যিক গাড়ির পারমিট তুলে দেওয়া হয়। পরিবহণমন্ত্রী জানান, বাইক ট্যাক্সিচালকদের আইন মেনে গাড়ি চালাতে হবে। তাই বাণিজ্যিক নাম্বার প্লেট মানে হলুদ নাম্বার প্লেট দেওয়া শুরু হয়েছে। দেওয়া হচ্ছে পৃথক পারমিট। প্রাইভেট নাম্বার প্লেটের বাইক ভাড়া খাটানো বেআইনি। পারমিট, পাঁচ বছরের ট্যাক্স, রেজিস্ট্রেশন-সহ গোটা প্রক্রিয়া করতে একেকজন চালকের ৩৭৫০ টাকা খরচ পড়েছে। আবার পাঁচবছর পর ট্যাক্স দিতে হবে। বাইক ট্যাক্সিকে নিয়ন্ত্রণে আনতে বাণিজ্যিক নাম্বার প্লেট দেওয়া পরিবহণ দপ্তর শুরু করেছে তাও প্রায় ছয়মাস পার। প্রত্যেক জেলায় করা হয় শিবিরও। কিন্তু তাতেও বাইক চালকদের খুব একটা বেশি আগ্রহ লক্ষ্য করা যাচ্ছে না। চালকদের বেশিরভাগই বেআইনিভাবেই যাত্রী তুলে বাইক ছোটাচ্ছেন।
অভিযোগ, তাতে ভাড়ারও কোনও ঠিক থাকে না। যাত্রী নিরাপত্তা নিয়েও প্রশ্ন থেকে যায়। তাই পরিবহণ দপ্তরের তরফে বাইক ট্যাক্সিকে রেগুলারাইজড করতে নির্দেশিকাও জারি করা হয়েছে। কিন্তু তাতেও কাজ হয়নি। বাইক ট্যাক্সিচালকদেরই একাংশের অভিযোগ, হাওড়া, শিয়ালদহ, দমদম-সহ বিভিন্ন স্টেশনে নামা যাত্রীদের অনেকের সঙ্গে বড় ব্যাগ থাকে। সেই ব্যাগ নিয়েই বিপজ্জনকভাবে তাঁরা বাইকে চড়ে যাত্রা করেন। যা থেকে দুর্ঘটনার সম্ভাবনা থেকে যায়। সরকার এক্ষেত্রেও কিছু নিয়ম করলে ভালো হয়। সিটু সমর্থিত বাইক ট্যাক্সি সংগঠনের নেতা মহম্মদ মনু বলেন, ‘‘আমাদের সংগঠনের বহু বাইক চালকেরই বাণিজ্যিক পারমিট নিয়েছে। আমরা সবসময় চালকদের বলি আইন মেনে গাড়ি চালাতে।’’