সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ইতিহাসে কনিষ্ঠতম হিসাবে আইসিসি চেয়ারম্যান হয়েছেন জয় শাহ। তাঁর বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বিতাই করেননি আর কোনও বোর্ড কর্তা। একমাত্র পাকিস্তান ছাড়া। সূত্রের খবর, চেয়ারম্যান নির্বাচনের সময়ে স্রেফ ‘নির্বাক দর্শক’ হয়ে বসেছিলেন পাক বোর্ডের প্রতিনিধি। কিন্তু জয় শাহ আইসিসি চেয়ারম্যান হওয়ায় শিঁকে ছিঁড়তে পারে পাকিস্তানের। জানা যাচ্ছে, এশিয়া ক্রিকেট কাউন্সিলের প্রধান হতে পারেন পিসিবি চেয়ারম্যান মহসিন নকভি।
দীর্ঘদিন ধরে বিসিসিআই সচিব পদের দায়িত্ব সামলেছেন জয় শাহ। তিন বছরের বেশি সময় ধরে এশিয়ার ক্রিকেট সংস্থারও প্রেসিডেন্ট ছিলেন ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের পুত্র। আপাতত তাঁর কাঁধে আরও বড় দায়িত্ব। আইসিসির ১৬টি সদস্য দেশের মধ্যে ১৫টি দেশই সমর্থন করেছে শাহকে। এক সূত্রের দাবি, নির্বাচন প্রক্রিয়ায় পাকিস্তানের ভূমিকা ছিল কেবল নির্বাক দর্শক হয়ে থাকা। তাতে অবশ্য জয় শাহর আইসিসি চেয়ারম্যান হওয়া আটকায়নি।
[আরও পড়ুন: বর্ডার গাভাসকর সিরিজ এবারও ভারতের! রোহিতদের জয় নিয়ে আত্মবিশ্বাসী খোদ সানি]
কিন্তু সেই সঙ্গে এসিসি প্রেসিডেন্টের পদও ছাড়তে হবে তাঁকে। আর সেখানেই সুবিধা পেতে পারেন নকভি। পিটিআইয়ের খবর অনুযায়ী, জয় শাহর ছেড়ে যাওয়া পদে বসতে পারেন নকভি। অক্টোবর-নভেম্বরে মিটিংয়ের পরই সেই বিষয়ে চূড়ান্ত নেওয়া হবে। তবে সূত্র থেকে বলা হচ্ছে, "বছর শেষে যখন এসিসি-র আলোচনা হবে, তখনই নিশ্চিত করে বলা যাবে নকভি আগামী দুবছরের জন্য দায়িত্ব নেবেন। জয় শাহ পদত্যাগ করলেই, সেখানে পিসিবি চেয়ারম্যান কার্যভার নেবেন।"
[আরও পড়ুন: রোনাল্ডোর ইউটিউব চ্যানেলে বিরাট? RCB-র পোস্ট ঘিরে জল্পনা নেটদুনিয়ায়]
এবছরই নকভি পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের চেয়ারম্যান হয়েছেন। ইতিমধ্যেই তাঁর ভূমিকা নিয়ে যথেষ্ট অসন্তোষ পাক-ক্রিকেটে। পাকিস্তানের মাটিতে আদৌ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি করাতে পারবেন কিনা, সেটাও প্রশ্নের মুখে। সেই সঙ্গে ওয়াকিবহাল মহল থেকে আরেকটা আশঙ্কাও তুলে ধরা হচ্ছে। নকভি এসিসি প্রেসিডেন্ট হলেও, আইসিসি প্রধানের পদে থাকবেন জয় শাহই। সেক্ষেত্রে ভারত বিরোধিতা করেও আদতে কতটা লাভ হবে, সেটাও ভাবতে হবে তাঁকে।