সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পঞ্জশিরের রাস্তায় রাস্তায় তালিবানি টহল। এমনকী, প্রতিরোধ বাহিনীর প্রধান মাসুদ আহমেদের (Ahmad Massoud) বাড়িতেও হানা দিয়েছে তারা। এমন পরিস্থিতি খবর চাউর হয়েছিল যে নর্দান অ্যালায়েন্সের প্রধান মাসুদ আহমেদ নাকি দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন। আশ্রয় নিয়েছে তুরস্ক বা মধ্য এশিয়ার অন্য কোনও দেশে। শনিবার গভীর রাতে সেই দাবি নস্যাৎ করে দিয়েছে ইরানের সংবাদ সংস্থা FARS।
প্রতিরোধ বাহিনীর এক সূত্রকে উদ্ধৃত করে ইরানের সংবাদ সংস্থাটি জানিয়েছে, মাসুদ পঞ্জশিরেই ((Panjashir) রয়েছেন। সুরক্ষিতই রয়েছেন তিনি। তাঁর দেশছাড়ার বর সম্পূর্ণ মিথ্যা। এর পরই শুরু হয়েছে জল্পনা। তবে কি তালিবানের উপর বড়সড় হামলার পরিকল্পনা করছেন তিনি, তাই আপাতত লোকচক্ষুর আড়ালে পঞ্জশিরের ‘সিংহ শাবক’?
[আরও পড়ুন: US Open: আঠেরোতেই বাজিমাত, একাধিক রেকর্ড গড়ে যুক্তরাষ্ট্র ওপেন চ্যাম্পিয়ন লন্ডনের এমা রাডুকানু]
তালিবানের (Taliban Terror)) দাবি, পঞ্জশিরের ৭০ শতাংশ রাস্তার দখল নিয়েছে তারা। আর কোথাও কোনও প্রতিরোধ নেই। গোটা আফগানিস্তানের (Afghanistan) শাসনকর্তা তালিবান। গড়ে ফেলেছে সরকারও। তবে তাদের মন্ত্রিসভার শপথগ্রহণ স্রেফ বাকি। কিন্তু পঞ্জশিরের দখল নেওয়ার খবর উড়িয়ে দিয়েছে নর্দান অ্যালায়েন্স। তাঁদের দাবি, অধিকাংশ রাস্তা দখল নিলেও এখনও সুরক্ষিত উপত্যকা।
প্রতিরোধ বাহিনীর এক কমান্ডার কাশেম মহম্মদি অডিও বার্তায় জানিয়েছেন, “তালিবান পঞ্জশিরের মূল রাস্তা এবং অলিগলির ৭০ শতাংশ দখল করেছে। কিন্তুপঞ্জশির পুরোটাই দখলের যে দাবি তারা করছে, তা সম্পূর্ণ মিথ্যা।” তাদের আরও দাবি করেছে, পঞ্জশির উপত্যকা দখলের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে তালিবান। কিন্তু প্রতিরোধ বাহিনী তার জোরদার মোকাবিলা করছে। সবমিলিয়ে পঞ্জশিরের পরিস্থিতি নিয়ে ধন্দ থেকেই যাচ্ছে।
[আরও পড়ুন: ‘আমাদের ভাবমূর্তি নষ্ট করছে পাকিস্তান’, তালিব কমান্ডারের ফাঁস হওয়া অডিও ঘিরে শোরগোল]
শুক্রবারই বিদ্রোহীদের ঘাঁটি দখল করে স্বঘোষিত ‘কার্যনির্বাহী প্রেসিডেন্ট’ আমরুল্লা সালেহর দাদা রুহুল্লা সালেহকে খুন করেছে তালিবান বলে সূত্রের খবর। বৃহস্পতিবার রাতে সালেহ ও তালিবান যোদ্ধাদের মধ্যে তুমুল সংঘর্ষ হয়। তালিবানের দাবি, তারা আমরুল্লা সালেহর গোপন ডেরার লাইব্রেরি পর্যন্ত পৌঁছে গিয়েছে। সেখানেই লড়াইয়ে নিহত হয়েছেন রুহুল্লা সালেহ। আহমেদ মাসুদের একটি অস্ত্রাগারও দখল করা হয়েছে বলে দাবি করেছে জেহাদিরা।