সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কেনিয়ার (Kenya) প্রেসিডেন্টকে নির্বাচন জিততে সাহায্য করার শাস্তি! বিদেশের মাটিতে প্রাণ গেল দুই ভারতীয় মুসলিমের। সে দেশের প্রেসিডেন্ট উইলিয়াম রুটোর ঘনিষ্ঠ মহল সূত্রে এমনটাই খবর। জুলাই মাস থেকে নিখোঁজ ছিলেন ওই দুই ভারতীয় যুবক।
নিখোঁজ দুই ভারতীয়র নাম জুলফিকর আহমেদ খান ও মহম্মদ জাইদ সামি কিদবাই। তাঁরা কেনিয়ার খোয়নজার ডিজিটাল প্রচার বা ক্যাম্পেনের অংশ ছিলেন। আচমকাই জুলাই মাসে মোম্বাসা রোড এলাকা থেকে ট্যাক্সিচালক নিকোদেমাস মাওয়ানির সঙ্গে নিখোঁজ হয়ে যান তাঁরা। তারপর থেকে আর হদিশ মেলেনি। প্রায় চারমাস পর প্রেসিডেন্টের ঘনিষ্ঠ মহল সূত্রে তাঁদের মৃত্যুর খবর মিলল।
[আরও পড়ুন: বাঙালিয়ানা ষোলোয়ানা! ময়দানে ছবির শুটিংয়ের ফাঁকে ঘুগনি-পাউরুটিতে মজলেন অনুষ্কা]
প্রেসিডেন্ট রুটোর ক্যাম্পেনের অন্যতম প্রচারক ইটুম্বি সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, ভোটে জিততে ডিজিটাল প্রচারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছিলেন জুলফিকর ও মহম্মদ জাইদ। তিনি আরও জানিয়েছেন, যখনই প্রেসিডেন্টের প্রচারের স্বার্থে কোনও গ্রাফিক্স তৈরির প্রয়োজন পড়ত ওঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হত। দুজনের হাতে যা কাজই থাকুক না কেন, তা থামিয়ে আগে আমাদের কাজ করে দিত। দুজনে মোম্বাসা, হোমা বে, মাসাইমারা ঘুরে বেড়িয়েছিলেন। প্রেসিডেন্ট ও তাঁর সঙ্গীদের ভারতে আসার আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন।
রুটোর ঘোর বিরোধী ছিল স্পেশ্যাল সার্ভিস ইউনিট। যারা বিচার বহির্ভূত হত্যার সঙ্গে যুক্ত। যেনতেন প্রকারেণ রুটোর জয় আটকাতে চেয়েছিল। তারাই জুলফিকর ও মহম্মদ জাইদের নিখোঁ হওয়ার পিছনে দায়ী বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। এরপরই ওই ইউনিটটিকে ভেঙে দেয় সরকার। শুক্রবার স্পেশ্যাল সার্ভিস ইউনিটের ২১ গোয়েন্দাকে নাইরোবিতে তলব করা হয়েছিল। এরপরই ইউনিটটি ভেঙে দেওয়া হয়।
এবার ইটুম্বি দাবি করছেন, গাড়ির চালক-সহ দুই ভারতীয় হয়তো মৃত্যু হয়েছে। তবে এর স্বপক্ষে এখনও কোনও প্রমাণ দিয়ে পারেননি তিনি। অন্যদিকে বিষয়টি নিয়ে কেনিয়ার প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে ভারতীয় দূতাবাস ও বিদেশমন্ত্রক। এ প্রসঙ্গে বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচী জানান, জুলাই মাসের মাঝামাঝি থেকে নিখোঁজ দুই ভারতীয়। ইতিমধ্যে পুলিশে অভিযোগ দায়ের করে তদন্ত চলছে।