সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: তাঁর সুরেলা কণ্ঠ যেমন চোখ ভিজিয়ে দেয়, তেমনই তাঁর মানবিক উদ্যোগ বারবার মন জয় করে নিয়েছে অনুরাগীদের। ক্লান্ত পথিকরা যাতে শুধু মুখে ফিরে না যান, তার জন্য নিত্যদিন অরিজিৎ সিংয়ের বাড়ির সামনে রাখা থাকে জল, নকুলদানা। ঠিক যেমনটা আগেকার দিনে অতিথিদের সেবায় করা হত।
দেশের ১ নম্বর গায়ক হয়েও কোনওরকম তারকাসুলভ চাকচিক্য নেই অরিজিৎ সিংয়ের মধ্যে। তাঁর সুরেলা কণ্ঠে যেখানে মাতোয়ারা গোটা দেশ তথা বিশ্ব, সেখানে এই মানুষটি সমস্তরকম আতিশয্য, বিলাসবহুল জীবনযাপন ছেড়ে মাটির কাছাকাছি থাকতেই অভ্যস্ত। দাপটের সঙ্গে বলিউডে কাজ করলেও জন্মভূমি মুর্শিদাবাদের জিয়াগঞ্জের পৈতৃক ভিটে ছেড়ে যাননি। অতিমারীর সময় থেকেই গায়কের মানবিক মুখ দেখেছেন ভক্তরা। আর এতকাছ থেকে সাদামাটা সেলিব্রিটি অরিজিৎকে পেয়ে নিত্যদিনই ইউটিউবার, ভ্লগাররা ভীড় জমান তাঁর জিয়াগঞ্জের বাড়ির বাইরে। তাঁরাই আবিষ্কার করলেন গায়কের এমন মানবিক উদ্যোগ।
[আরও পড়ুন: হাতে ত্রিশূল, গলায় রুদ্রাক্ষ! ‘ব্যোমকেশ’ ট্রেলার দেখে দেব-ভক্তরা বলছেন, ‘খোকাবাবু খেলা হবে’]
এক সংবাদমাধ্যমের দাবি, অরিজিৎ সিংয়ের বাড়ির সামনে রাখা থাকে জলের পাত্র, নকুলদানা। ভূমিপুত্র হিসেবে জিয়াগঞ্জের মানুষকে তিনি যেভাবে ভালবাসায় ভরিয়ে দিয়েছেন, তা সকলকেই মুগ্ধ করে। দেশের অন্যতম সুপারস্টার তথা একমেবাদ্বিতীয়ম গায়ক হলেও শিকড়ের টান যে কী অমোঘ, সেটা বারবার প্রমাণ করেছেন তিনি। দুস্থ মানুষদের বিনামূল্যে খাবার বিলি করেন গায়কের বাবা। এমনকী জিয়াগঞ্জে তাঁদের ‘হেঁশেল’ও আছে, যেখানে মাত্র ৩০ টাকায় ভরপেট খাওয়া যায়। অগ্নিমূল্য বাজারে সাধারণ মানুষদের পকেটের কথা মাথায় রেখে খাবারের দাম নির্ধারণ করেছেন। এবার তাঁর বাড়ির সামনে নকুলদানা, জল দেখে আবেগাপ্লুত স্থানীয় ভ্লগাররা। বলছেন- “একটাই তো মন, আর কতবার জিতবেন দাদা?”