সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অন্ধকার সুড়ঙ্গের ভিতরে ১৬ দিন। ১৭তম দিনে মুক্তি। আপাতভাবে এইটুকুই। কিন্তু আসলে এর ভিতরে রয়েছে দীর্ঘ দীর্ঘ সময় অনিশ্চয়তার কালো মেঘে ঢাকা পড়ে থাকার দুঃসহ অভিজ্ঞতা। ঠিক কেমন ছিল উত্তরকাশীর (Uttarkashi) শ্রমিকদের সেই দিনগুলো? জানিয়েছেন ওই শ্রমিকদেরই একজন, বিশ্বজিৎকুমার ভার্মা।
সংবাদ সংস্থা এএনআইয়ের সঙ্গে কথা বলার সময় তাঁকে বলতে শোনা গিয়েছে, ”যখন ধস নামল, তখনই বুঝতে পেরেছিলাম আমরা আটকে গিয়েছি। প্রথম ১০-১৫ ঘণ্টা আমাদের পরিস্থিতি কঠিন ছিল। কিন্তু পরে একটা পাইপের মাধ্যমে আমাদের ভাত, ডাল ও শুকনো ফল পাঠানো হয়। একটা মাইকও লাগিয়ে দেওয়া হয়, যার মাধ্যমে আমরা পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলতাম।” কেমন লাগছে মুক্তি পেয়ে? বিশ্বজিৎকুমারের কথায়, ”আমি এখন সুখী। এবার দিওয়ালি পালন করব।”
[আরও পড়ুন: ‘খারাপ কিছু হয়ে গেলে যে কী হত!’, উত্তরকাশীর শ্রমিকদের সামনে আবেগপ্রবণ মোদি]
এদিকে শ্রমিকদের সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী মোদি (PM Modi)। তাঁকে আবেগপ্রবণ হয়ে পড়তে দেখা গিয়েছে। তিনি বলেন, ”আমি কতটা আনন্দ পেয়েছি ভাষায় প্রকাশ করতে পারব না। খারাপ কিছু হয়ে গেলে নিজেকে কী করে সামলাতাম বলা কঠিন। এটা কেদারনাথ বাবার কৃপা যে আপনারা সকলে ভালো রয়েছেন।”
গত ১২ নভেম্বর গোটা দেশ শিউরে উঠেছিল শ্রমিকদের আটকে পড়ার ঘটনায়। সিল্কইয়ারা ও দণ্ডলগাঁওয়ের মাঝে তৈরি হতে থাকা সুড়ঙ্গে আচমকাই ধস নেমেছিল। আর তার ফলেই আটকে পড়েছিলেন ওই ৪১ জন শ্রমিক।