সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সৌদি আরবে কাজ করতে গিয়েছিলেন স্বামী। যাতায়াতের জন্য প্রয়োজন ছিল প্রচুর টাকার। তাই ঋণ নিয়েছিলেন। কর্মসূত্রে বাড়ি ছাড়ার পর থেকে আর টাকা পাঠাচ্ছেন না স্বামী। এদিকে, বাড়ি থেকে উদ্ধার বধূর ঝুলন্ত দেহ। পরিবার সূত্রে খবর, সম্ভবত আর্থিক অনটনে আত্মঘাতী হয়েছেন বধূ।
আত্মঘাতী মমতাজ বেগম। মুর্শিদাবাদের ভরতপুর থানার মির্ধাপাড়া গ্রামে তাঁর বাপের বাড়ি। বছর পাঁচেক আগে বিয়ে হয় তাঁর। ভরতপুর গ্রামের বাসিন্দা সাঙ্গীর শেখের সঙ্গে দিব্যি চলছিল সংসার। সম্প্রতি সাঙ্গীর বেশি আয়ের আশায় সৌদি আরবে যান। তারপর থেকে বাপের বাড়িতেই থাকতেন মমতাজ। শনিবার দুপুরে সেখান থেকেই ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয় তাঁর। একটি বন্ধ ঘরে সিলিং ফ্যান থেকে তাঁর দেহ উদ্ধার করা হয়।
তড়িঘড়ি মমতাজকে উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালে। তবে শেষরক্ষা হয়নি। চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে জানান। এই ঘটনায় থানায় এখনও পর্যন্ত কোনও অভিযোগ দায়ের হয়নি। অস্বাভাবিক মৃত্যু মামলা রুজু হয়েছে। দেহ পাঠানো হয়েছে ময়নাতদন্তে। বিষয়টি খতিয়ে দেখছে পুলিশ। মৃতের ভাইয়ের দাবি, মমতাজের স্বামী সাঙ্গীর সম্প্রতি সৌদি আরবে গিয়েছিলেন। সেখানে যাওয়ার জন্য টাকার প্রয়োজন ছিল। ওই টাকা জোগাড় করতে ঋণ করেছিলেন মমতাজ। তবে সাঙ্গীর টাকা পাঠাচ্ছিলেন না। তাই ঋণ শোধ করতে পারছিলেন না বধূ। সে কারণে মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন। সম্ভবত তাই চরম সিদ্ধান্ত নেন মমতাজ। এই ঘটনার পর সৌদি আরবে থাকা সাঙ্গীরের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেছেন পরিবারের লোকজনেরা। তবে তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।