সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ২০৩০ সালের মধ্যেই মঙ্গলে (Mars) মানুষ পাঠানোর পরিকল্পনা রয়েছে নাসার (NASA)। তিন বছরের এই মিশনে দীর্ঘ দিন মহাকাশ ও অন্য গ্রহের আবহাওয়ায় থাকতে হবে নভোচরদের। যা এক বড় চ্যালেঞ্জ। যার মধ্যে অন্যতম হাড়ের ক্ষয়। আর সেই চ্যালেঞ্জ থেকে বাঁচতে গবেষকরা ভরসা রাখছেন লেটুস পাতার উপরেই। যার সাহায্যে হাড়ের ক্ষয় রোধ করা সম্ভব হবে বলেই মনে করছেন তাঁরা।
ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা এমন এক ধরনের লেটুস উৎপাদন করেছেন, যা মহাকাশে অনায়াসেই বেড়ে উঠবে। এবং এটিই মহাকাশে নভোচরদের রক্ষা করবে হাড়ের ক্ষয় থেকে। কিন্তু কেন মহাকাশে হাড়ের ক্ষয় বেড়ে যায়? আসলে পৃথিবীতে মানুষের শরীরে নাগাড়ে অভিকর্ষের ধাক্কায় হাড়ের ক্ষয় হয়। কিন্তু সেই ক্ষয় থেকে মানবশরীরকে রক্ষা করতে থাকে রক্তে মিশে থাকা ক্যালশিয়াম। কিন্তু মহাকাশে ক্যালশিয়ামের অভাবে হাড়ের ক্ষয় শুরু হয়ে যায়।
[আরও পড়ুন: মোদির পর এবার অমিত শাহ, সবাইকে ‘দ্য কাশ্মীর ফাইলস’ দেখার আরজি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর]
দেখা গিয়েছে, এই নতুন ধরনের লেটুসে প্যারাথাইরয়েড হরমোন থাকে। যা হাড়ের গঠনকে মজবুত করে। যদিও একটি ওষুধ রয়েছে, যা থেকে ওই হরমোন পাওয়া যায়। কিন্তু একটা তিন বছরের মিশনে বিপুল পরিমাণে ওষুধ নিয়ে যাওয়ার থেকে লেটুস উৎপাদন অনেক বেশি বাস্তবসম্মত আইডিয়া।
এবিষয়ে বলতে গিয়ে ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক কারেন ম্যাকডোনাল্ড জানিয়েছেন, ”আমরা আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশনে এই লেটুস উৎপাদন করতে পেরেছি। দেখা গিয়েছে মহাকাশেও এর বীজ খুব তাড়াতাড়ি বেড়ে ওঠে।” দেখা গিয়েছে, যদি নভশ্চররা মহাকাশে দৈনিক আট কাপ লেটুস পাতার রস খান তাহলেই তাঁদের শরীরে প্যারাথাইরয়েড হরমোনের পরিমাণ একদম ঠিক থাকে। এর সঙ্গেই গবেষকরা জানাচ্ছেন, কেবল মঙ্গল বা মহাকাশে নয়, পৃথিবীতেও এই লেটুস উপকারে আসবে। অস্টিওপোরোসিস ও অন্যান্য হাড়ের অসুখে এই পাতা অত্যন্ত উপকারী।