সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পাতে পরিবেশন করা মাংস ‘হালালে’র নাকি ‘ঝটকা’র, তা এবার থেকে ক্রেতাদের জানিয়ে দিতে হবে উত্তর দিল্লির রেস্তরাঁগুলিকে। মঙ্গলবারই এই প্রস্তাব পাশ করেছে বিজেপি শাসিত উত্তর দিল্লি পুরসভা (NDMC)। কিছুদিন আগেই এই প্রস্তাব পেশ করা হয়েছিল পুরসভার স্ট্যান্ডিং কমিটির পক্ষ থেকে। মেয়র জয় প্রকাশের নেতৃত্বে তা পাশ করা হয়। তাই এই প্রস্তাব মেনেই এবার থেকে উত্তর দিল্লির (North Delhi) রেস্তরাঁকে মাংস কাটার পদ্ধতির উল্লেখ করতে হবে বলে জানান জয় প্রকাশ।
হালাল ও ঝটকা মাংসের মধ্যে পার্থক্য কী? হালাল শব্দের অর্থ অনুমোদিত। হালাল ফুড মানে শরিয়া আইন সম্মত খাবার। শরিয়া আইন বলে, জবাইয়ের সময় জন্তুকে জীবন্ত হতে হবে, শরীর থেকে সব রক্ত বেরিয়ে যেতে হবে। উলটো দিকে ঝটকায় এক কোপে জন্তুর মাথা ধড় থেকে আলাদা করা হয়। রাজধানী দিল্লির অধিকাংশ এলাকাতেই মাংসের কদর রয়েছে। রেস্তরাঁগুলির পাশাপাশি খাবারের অনেক দোকান রয়েছে চাঁদনী চক, দরিয়াগঞ্জ, কাশ্মীর গেটের মতো এলাকায়। সেই সমস্ত জায়গাতেই নতুন এই নিয়ম মেনে চলতে হবে বলে জানা গিয়েছে।
[আরও পড়ুন: অসমের ৮ সংবাদপত্রে একসঙ্গে বিজেপির জয়ের ‘খবর’, কমিশনে নালিশ কংগ্রেসের]
দক্ষিণ দিল্লির পুরসভাও বিজেপি (BJP) শাসিত। সেখানেও কিছুদিন আগে এই নিয়ম কার্যকর করা হয়েছে। উল্লেখ্য, কিছুদিন আগেই রেড মিট ম্যানুয়াল থেকে ‘হালাল’ শব্দ সরিয়েছিল কেন্দ্র। রপ্তানি করা রেড মিট ম্যানুয়ালে ‘হালাল’ শব্দের উল্লেখ থাকলে তা মুসলিম মাংস ব্যবসায়ীরা অতিরিক্ত সুবিধা পান। এমনই অভিযোগ ছিল বিশ্ব হিন্দু পরিষদ-সহ একাধিক ডানপন্থী সংগঠনের। তাঁদের অভিযোগ ছিল, এই শব্দ ব্যবহারের ফলে অতিরিক্ত সুবিধা পেয়ে যাচ্ছেন মুসলিম ব্যবসায়ীরা। সংগঠনগুলির যুক্তি, ভারত ইসলামিক দেশ ছাড়াও চিন, শ্রীলঙ্কার মতো দেশে মাংস রপ্তানি করে। যেখানে ‘হালাল’ সার্টিফিকেটের প্রয়োজন পড়ে না। উলটে শ্রীলঙ্কায় হালাল নিষিদ্ধ করা হয়েছে। সংগঠনগুলির দাবি, এই পদক্ষেপের ফলে মাংস রপ্তানিতে সুবিধা পাবেন দেশের সমস্ত মাংস ব্যবসায়ীরা। এই অভিযোগের ভিত্তিতেই কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্ত বলে মনে করা হয়েছিল। তবে দিল্লির বিজেপি শাসিত পুরসভা উলটো পথেই হাঁটল।