সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আমজনতার জন্য সুখবর। নভেম্বরে গত ১১ মাসের তুলনায় খুচরো মূল্যবৃদ্ধির হার (Retail inflation) সর্বনিম্ন। ৫.৮৮ শতাংশে নামল খুচরো পণ্যের মূল্যবৃদ্ধির হার। এই হার অক্টোবরে ছিল ৬.৭৭ শতাংশ। জাতীয় পরিসংখ্যান বিভাগের প্রকাশিত তথ্য জানাচ্ছে, বাজারে খাদ্য-সহ বিভিন্ন নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম নতুন করে না বাড়ায় মূল্যবৃদ্ধির সূচক নিম্নগামী। প্রশ্ন হল, এর ফলে কতটা স্বস্তি মিলবে?
উল্লেখ্য, গত মে, জুন ও জুলাই মাসে খুচরো মূল্যবৃদ্ধি নিম্নগামী ছিল। অগস্ট মাসে তা রিজার্ভ ব্যাংকের (Reserve Bank of India) বেঁধে দেওয়া সীমার (২ থেকে ৬ শতাংশ) উপরে ওঠায় আবার সুদের হার বৃদ্ধির সম্ভাবনা তৈরি হয়েছিল। গত জুলাইয়ের ৬.৬৯ শতাংশ থেকে অগস্টে তা বেড়ে ৭.৬২ শতাংশ হয়েছিল। সেপ্টেম্বরে আরও বেড়ে হয়েছিল ৭.৪১ শতাংশ। অর্থাৎ বেশ কয়েক মাসের ব্যবধানে রিজার্ভ ব্যাংকের বেঁধে দেওয়া সীমার (২ থেকে ৬ শতাংশ) মধ্যে থাকল খুচরো পণ্যের মূল্যবদ্ধি।
[আরও পড়ুন: ‘দেশের আর্থিক বৃদ্ধি দেখে হিংসায় জ্বলছে বিরোধীরা’, সংসদে দাবি নির্মলার]
যদিও গত কয়েক মাসের মূল্যবৃদ্ধির প্রভাব পড়েছে আরবিআইয়ের (RBI) রেপো রেটে। বুধবার ৩৫ বেসিস পয়েন্ট রেপো রেট বাড়ানোর কথা ঘোষণা করা হয়েছে রিজার্ভ ব্যাংকের তরফে। আরবিআইয়ের গভর্নর শক্তিকান্ত দাস (Shaktikanta Das) জানিয়েছেন, এর ফলে রেপো রেট (Repo Rate) বৃদ্ধির হার ৬.২৫ শতাংশে গিয়ে দাঁড়াল। এর ফলে গাড়ি বা গৃহঋণের ইএমআই (EMI) আরও বাড়বে বলেই মনে করা হচ্ছে। সেই সঙ্গে বাড়তে পারে অন্যান্য ঋণের ইএমআইও।
[আরও পড়ুন: ‘ছয় সপ্তাহ হাজিরা দিতে পারব না’, ‘মাছ’ মন্তব্যে পুলিশি সমনের উত্তর পরেশ রাওয়ালের]
উল্লেখ্য, সারা বিশ্বে আর্থিক অস্থিরতা বাড়ছে। এই পরিস্থিতিতে মুদ্রাস্ফীতির মোকাবিলা করতে রেপো রেট বাড়ায় কেন্দ্রীয় ব্যাংক। আর্থিক নীতি কমিটির বৈঠকেই এই রেট বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। উল্লেখ্য, এর আগে সেপ্টেম্বরে ৫০ বেসিস পয়েন্ট বাড়ানো হয়েছিল রেপো রেট। যার ফলে ৫.৯ শতাংশে গিয়ে দাঁড়িয়েছিল বৃদ্ধির হার। তবে নভেম্বরে খুচরো মৃল্য বৃদ্ধির হার ৫.৮৮ শতাংশের গণ্ডিতে থাকায় মধ্যবিত্তের জন্য লাভদায়ক হতে পারে। তবে নিম্নগামী হার থিতু হলেই তবে বাজারে তার প্রকৃত প্রভাব পড়বে, বলছেন বিশেষজ্ঞরা।