সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ইজরায়েল-হামাস যুদ্ধের বলি সাংবাদিক। মধ্যেপ্রাচ্যে চলা এই রক্তক্ষয়ী লড়াইয়ে প্রাণ হারিয়েছেন ব্রিটিশ সংবাদ সংস্থা রয়টার্সের এক সাংবাদকর্মী। আহত আল জাজিরা, রয়টার্স, এপি-সহ অন্যান্য আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের বেশ কয়েকজন সাংবাদিক।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ‘দ্য টেলিগ্রাফ’ সূত্রে খবর, ইজরায়েলের (Israel) হামলায় নিহত হয়েছেন রয়টার্সের চিত্র সাংবাদিক ইশাম আবদুল্লা। এক বিবৃতিতে রয়টার্স জানায়, ‘ইশাম দক্ষিণ লেবাননে কাজ করছিলেন। সেখানেই গোলাবর্ষণে তাঁর মৃত্যু হয়েছে। এই ঘটনায় আমরা মর্মাহত। ওই অঞ্চলের কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করা হচ্ছে। ইশামের পরিবারের পাশে রয়েছে রয়টার্স।’ সংস্থাটি আরও জানায়, ইজরায়েলের গোলাবর্ষণে তাদের আরও দুই সাংবাদিক আল-সুদানি এবং মাহের নাজেহ আহত হয়েছেন। তাঁরা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
[আরও পড়ুন: ‘আল্লা হু আকবর’ হুঙ্কারে ফ্রান্সের স্কুলে হামলা, খুন শিক্ষক]
আল জাজিরা জানিয়েছে, শুক্রবার ইজরায়েল-লেবানন সীমান্তের আলমা আস-সাবে গিয়েছিলেন সংবাদকর্মীরা। ধারণা করা হচ্ছে, ইজরায়েলি সেনাবাহিনীর একটি ট্যাঙ্ক থেকে তাঁদের উপর সরাসরি গোলা ছোড়া হয়।
উল্লেখ্য, ৭ অক্টোবর ইজরায়েলের বুকে যে হত্যালীলা চালিয়েছে হামাস তাতে প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত দেড় হাজার ইজরায়েলি নাগরিক। বহু মহিলা, শিশু, বৃদ্ধ, ইজরায়েলি সেনার জওয়ান এবং অন্য দেশের নাগরিককে বন্দি করে গাজায় নিয়ে গিয়েছে তারা। এর ফল যে কী হতে চলেছে তা ভালোই জানে জঙ্গি সংগঠনটি। ইজরায়েল যে ভয়ানক হামলা করবে এবং হামাসের অস্তিত্ব সংকটে পড়বে এটাও জানা ছিল। একপ্রকার বাঁচা মরার লড়াইয়ে নেমেছে হামাস। বিশ্লেষকদের অনেকে মনে করছেন, মূলত ইরানের মদতেই এতটা আক্রমণাত্মক হয়েছে তারা। হামাসের সেনাপ্রধান মহম্মদ দাইফ ও রাজনৈতিক প্রধান ইসমাইল হানিয়েহ একাধিক বার নাকি তেহরান সফরেও গিয়েছেন। পড়শি লেবানন থেকে হেজবোল্লার মদতও রয়েছে। এছাড়া, গাজা, ওয়েস্ট ব্যাঙ্ক ও জেরুজালেমের আরব বাসিন্দারাও তাদের পাশে দাঁড়াবে বলে আশা করছে হামাস।