সুপর্ণা মজুমদার: রাজা, রানি আর রাজত্ব। যে রাজত্ব বিহারের। গোবলয়ের এমন এক রাজ্য। যেখানে গদি আর ক্ষমতার লড়াই নিরন্তর চলতে থাকে। এই সাম্রাজ্যে মুখ্যমন্ত্রী রানি ভারতী হিসেবে দেখা গিয়েছিল হুমা কুরেশিকে। ২০২১ সালের মে মাসে থেকে সোনি লিভ (Sony Liv) ওয়েব প্ল্যাটফর্মে দেখা যাচ্ছে ‘মহারানি’ সিরিজ। তারই দ্বিতীয় সিজন ২৫ আগস্ট থেকে দেখা যাচ্ছে। গদির লড়াই নয় এবার মুখ্য হয়ে উঠেছে ষড়যন্ত্র আর সম্পর্কের টানাপোড়েন।
প্রথম সিজনের গল্প অনুযায়ী, গুলিতে জখম হওয়ার পর স্ত্রী রানিকে মুখ্যমন্ত্রী করে ভীমা ভারতী (সোহুম শাহ)। প্রথমে ভয় পেলেও পরে গদির ওজন সামলে নেয় রানি। এখানেই শুরু হয় তরজা। রাজ্যের দুর্নীতির শিকড় খুঁজতে গিয়ে রানি বুঝতে পারে আসলে নিজের স্বামীর বিরুদ্ধেই তার লড়াই। যুদ্ধে পিছিয়ে যেতে শেখেনি সে। তাই স্বামীকেই জেলে পাঠায়। স্ত্রীর বিরুদ্ধে প্রতিশোধের অঙ্গীকার করে ভীমা ভারতী। এখানেই শেষ হয়েছিল প্রথম মরশুমের গল্প।
[আরও পড়ুন: প্রয়াত বর্ষীয়ান অভিনেতা প্রদীপ মুখোপাধ্যায়]
দ্বিতীয় মরশুমের শুরুতেই ভীমার খুনে অভিযুক্ত হিসেবে দেখানো হয় রানি ভারতীকে। তবে তা কেমন করে সম্ভব? এই প্রশ্নের উত্তরই দশটি এপিসোডে দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে। কাহিনির পরতে পরতে রয়েছে ষড়যন্ত্রের আভাস। তাতেই মিশেছে রাজনীতি ও কূটনীতির ফোড়ন। রানি ভারতী হিসেবে হুমা কুরেশির (Huma Qureshi) অভিনয় বলিষ্ঠ। তবে সবচেয়ে বেশি ভাল লেগেছে সোহুম শাহর (Sohum Shah) অভিনয়। জেলে থাকা ভীমার ভূমিকা পালনের জন্য নিজের ওজন বাড়িয়েছেন অভিনেতা। আর নিজেকে প্রতি মুহূর্তে বিশ্বাসযোগ্য করে তুলেছেন তিনি।
কিছু জায়গায় কাহিনির গতি বেশ দীর্ঘ। মেদহীন হলে আরও ভাল লাগত। প্রত্যেক চরিত্রের মুখে বিহারের কোনও না কোনও বিশেষণ জুড়েছেন পরিচালক। তা একটা সময়ের পর শুনতে একঘেয়ে লাগে। এর ব্যতিরেকে পলিটিক্যাল ড্রামার যোগ্য উদাহরণ হিসেবে দেখা যেতেই পারে ‘মহারানি সিজন ২’ (Maharani Season 2) । কারণ অমিত সিয়াল, বিনীত কুমার, প্রমোদ পাঠক, কাণি কাসরুতির মতো অভিনেতা রয়েছেন এ সিরিজে। নতুন মরশুমে নজর কাড়লেন অনুজা শাঠে, দিব্যেন্দু ভট্টাচার্য। শেষের দিকে তৃতীয় মরশুমের আভাসও পাওয়া গিয়েছে। আর যুদ্ধংদেহি মনোভাবেই ফেরার আশ্বাস দিয়েছেন ‘মহারানি’ হুমা।
সিরিজ – মহারানি সিজন ২
অভিনয়ে – হুমা কুরেশি, সোহুম শাহ, অমিত সিয়াল, বিনীত কুমার, প্রমোদ পাঠক, কাণি কাসরুতি, অনুজা শাঠে, দিব্যেন্দু ভট্টাচার্য
পরিচালনায় – রবীন্দ্র গৌতম