স্টাফ রিপোর্টার: আর জি কর হাসপাতালের দুর্নীতিতে সিবিআইয়ের নজরে আরও অন্তত ৬ চিকিৎসক। ওই চিকিৎসকদের নাম রাজ্য সরকারকে জানাতেও পারে সিবিআই। ইতিমধ্যেই আর জি করে আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগে সিবিআইয়ের হাতে গ্রেপ্তার হয়েছেন হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ। এই মামলায় সন্দীপ-ঘনিষ্ঠ চিকিৎসক আশিস পাণ্ডেকেও সিবিআই গ্রেপ্তার করেছে। এ ছাড়াও গ্রেপ্তার হয়েছেন সন্দীপের ঘনিষ্ঠ দুই ঠিকাদার ও তাঁর নিরাপত্তারক্ষী। যদিও এই দুর্নীতির মামলায় চিকিৎসকদের ভূমিকার উপরই বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে সিবিআই।
সিবিআইয়ের দাবি, গত ৩০ সেপ্টেম্বর সুপ্রিম কোর্টে আর জি কর হাসপাতালে মহিলা চিকিৎসকের ধর্ষণ ও খুনের মামলার শুনানিতে রাজ্য সরকারের পক্ষের আইনজীবী রাকেশ দ্বিবেদী আবেদন জানিয়ে বলেছেন, কোনও ব্যক্তি জুনিয়র ডাক্তার, হাউস স্টাফ অথবা নার্সকে হুমকি অথবা হেনস্তা করেছেন, এমন কোনও তথ্য সিবিআইয়ের কাছে এলে সেই তথ্য সিবিআই রাজ্য সরকারের সঙ্গে আদান-প্রদান করতে পারে। রাজ্য সরকার তাঁদের বিরুদ্ধে আইন মেনেই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে। ফলে প্রাথমিকভাবে সিবিআই আধিকারিকরা চান, তাঁদের স্ক্যানারে আর জি কর হাসপাতালের যে চিকিৎসক ও আধিকারিকরা রয়েছেন, তাঁদের নাম রাজ্য সরকারকে জানাতে। সম্প্রতি স্বাস্থ্যকর্তাকে দেওয়া চিঠিতে সিবিআই জানায় যে, তাদের কাছে আর জি করের কোনও চিকিৎসক বা আধিকারিকের দুর্নীতির ব্যাপারে তথ্য এলে, তা রাজ্য সরকারকে জানানো হবে। রাজ্য সরকারই তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিক, এমনই দাবি সিবিআইয়ের। ক্রমে তাঁদের বিরুদ্ধে সিবিআই আইনি ব্যবস্থাও নিতে পারে।
সিবিআইয়ের সূত্র জানিয়েছে, সন্দীপের ঘনিষ্ঠ আর জি করের এক প্রাক্তন কর্তার বিরুদ্ধেও ওঠে অভিযোগের আঙুল। তাঁকে সিবিআই তলব করে জেরাও করেছিল। আরও দুই প্রবীণ চিকিৎসকের নামও উঠে এসেছে সিবিআইয়ের তদন্তে। সিবিআইয়ের দাবি, তাঁরা সন্দীপ ঘোষের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ ও হাউস স্টাফ নিয়োগ থেকে শুরু করে বর্জ্য পাচার, হাসপাতালের বিভিন্ন সামগ্রী ক্রয়ের ক্ষেত্রে দুর্নীতির যোগ থাকতে পারেন। এ ছাড়াও আরও তিনজন চিকিৎসক, যাঁরা সন্দীপ ঘোষের হয়ে বিভিন্ন খাতে টাকা তুলতেন বলে অভিযোগ, তাঁরাও রয়েছেন সিবিআইয়ের স্ক্যানারে। সিবিআইয়ের দাবি, তাঁরা কীভাবে আর জি করের কোভিড তহবিল থেকে বিপুল টাকা হস্তগত করেছেন, সেই তথ্য আধিকারিকদের কাছে এসেছে। তাঁদের কার্যকলাপ ও দুর্নীতিতে ভূমিকার ব্যাপারে সিবিআই নজরদারি চালাচ্ছে। তাঁদের ভূমিকার ব্যাপারে রাজ্য সরকারকে তথ্য জানানো হতে পারে বলে জানিয়েছে সিবিআই।