ক্ষীরোদ ভট্টাচার্য: একের পর এক অশান্তি থেকে শুরু করে তরুণী চিকিৎসকের উপর যৌন নির্যাতন ও খুন। আর জি কর-এ ঘটে চলা অনৈতিক ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের অপসারণের দাবিতে সরব ছাত্র সংগঠন। সবদিক বিবেচনা করে এবার বড় সিদ্ধান্তের পথে স্বাস্থ্যদপ্তর। সূত্রের খবর, এবার পদ থেকে সরানো হতে পারে আর জি কর হাসপাতালের অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষকে।
গত তিনদিন ধরে আর জি কর হাসপাতালে মহিলা চিকিৎসককে যৌন নির্যাতন ও খুনকে কেন্দ্র করে তোলপাড় বাংলা। এই ঘটনা হাসপাতালের ভাবমূর্তির উপর বড় ধাক্কা বলেই মনে করছে চিকিৎসক মহল। যা মেনে নিয়েছে স্বাস্থ্যদপ্তরের আধিকারিকরাও। রবিবার দিনভর স্বাস্থ্যদপ্তরের কর্তারা পরিষেবা স্বাভাবিক রাখতে একাধিক পদক্ষেপ করেছেন। কিন্তু আন্দোলনকারী পড়ুয়াদের দাবি, শুধু সুপার সঞ্জয় বশিষ্ঠকে সরালে হবে না। অবিলম্বে সরাতে হবে অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষকে। তাঁদের যুক্তি, গত কয়েকবছর ধরে সন্দীপ ঘোষ অধ্যক্ষ থাকাকালীন আর জি কর হাসপাতালে যা অশান্তি হয়েছে, তা অন্য কোথাও হয়নি। এদিকে পথে নামার ডাক দিয়ে হাসপাতালের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিয়েছেন মৃতার বাবা-মা। যা ভাবতে বাধ্য করেছে স্বাস্থ্য আধিকারিকদের।
[আরও পড়ুন: সীমান্ত পেরিয়ে বাংলায় এসেও রক্ষা নেই, গ্রেপ্তার আওয়ামি লিগের ছাত্রনেতা]
একদিকে আন্দোলনরত পড়ুয়াদের চাপ, অন্যদিকে আর জি কর হাসপাতালের ভাবমূর্তি পুনরুদ্ধার। সূত্রের খবর, এই দুদিক মাথায় রেখে এবার বড় সিদ্ধান্ত নিতে চলছে স্বাস্থ্যভবন। সম্ভবত সন্দীপ ঘোষকে এবার আর জি কর ছাড়তে হতে পারে। ওয়াকিবহল মহল মনে করছে, সন্দীপ ঘোষের অপসারণ শুধুমাত্র সময়ের অপেক্ষা। জানা গিয়েছে, তৃণমূল ছাত্র সংগঠনের একটা বড় অংশ কলেজের স্বাভাবিক অবস্থা ফিরিয়ে আনতে বদ্ধ পরিকর। তাঁদের কথায়, এখন প্রয়োজন ছাত্রবন্ধু অধ্যক্ষ। এর মধ্যে আর কোনও রাজনীতি তারা চাইছে না। প্রসঙ্গত, রবিবার সুপার সঞ্জয় বশিষ্ঠকে সরানো হলেও তাতে শান্ত হয়নি আন্দোলনকারীরা।