অর্ণব আইচ: জেল হেফাজতে আর জি কর কাণ্ডে ধৃত সঞ্জয় রায়। সিজিও কমপ্লেক্স থেকে কড়া নিরাপত্তায় শুক্রবার তাকে শিয়ালদহ আদালতে নিয়ে যাওয়া হয়। আগামী ১৪ দিন তাকে জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। আপাতত প্রেসিডেন্সি জেলেই রাখা হবে তাকে। এদিকে, পলিগ্রাফ টেস্টে সঞ্জয় রায় সম্মতি দিয়েছে বলেই খবর। সুতরাং আর কোনও বাধাই থাকল না। জেল হেফাজতে থাকাকালীন তাকে এই পরীক্ষা করানোর জোরাল সম্ভাবনা রয়েছে।
গত ৮ আগস্ট, নাইট শিফট ছিল তরুণী চিকিৎসকের। পরদিন সেমিনার হল থেকে তাঁর দেহ উদ্ধার করা হয়। অভিযোগ, ধর্ষণ করে খুন করা হয় তরুণী চিকিৎসককে। এই ঘটনার তদন্তে নেমে কলকাতা পুলিশ সঞ্জয় রায়কে গ্রেপ্তার করে। গত ১৩ আগস্ট কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশে ঘটনার তদন্তভার নেয় সিবিআই। তদন্ত শুরু করার পর সঞ্জয় নিজেদের হেফাজতে নেয় সিবিআই। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে খবর, হেফাজতে থাকাকালীন এক এক সময় এক এক রকম তথ্য দিয়ে সিবিআইকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করেছে সঞ্জয়। হাসপাতালে ঢোকার কারণ, হাসপাতালে ঢোকার সময়, হাসপাতালের সেমিনার হলে ঢোকার কারণ নিয়েও নাকি সঞ্জয় বার বার বিভ্রান্ত করছে বলেই খবর। সে কারণে তার পলিগ্রাফ টেস্ট করাতে মরিয়া সিবিআই। সূত্রের খবর, পলিগ্রাফ টেস্টে সম্মতি দিয়েছে সঞ্জয় রায়ও।
[আরও পড়ুন: আর জি কর কাণ্ডে বিচার চেয়ে পথে নামছেন তরুণী চিকিৎসকের বাবা-মা!]
এদিকে, আর জি কর কাণ্ডে প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ-সহ আরও সাতজনের পলিগ্রাফ পরীক্ষার অনুমতি দিয়েছে শিয়ালদহের অতিরিক্ত মুখ্য বিচারবিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেট (এসিজেএম) আদালত। সন্দীপ ঘোষ এদিন সিজিও কমপ্লেক্সে ফের হাজিরা দেন। এই নিয়ে অষ্টম দিন সিবিআই দপ্তরে হাজিরা দিলেন তিনি। আবার সন্দীপের বিরুদ্ধে ওঠা আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগের তদন্তভারও সিবিআইকে দিয়েছে কলকাতা হাই কোর্ট। আদালতের রায়ের বিরোধিতায় হাই কোর্টের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চে সন্দীপ।