অর্ণব আইচ: আরও বিপাকে আর জি কর মেডিক্যাল কলেজের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ। এবার তাঁকে তরুণী চিকিৎসকের খুন-ধর্ষণ মামলায় গ্রেপ্তার করল সিবিআই। তাঁর সঙ্গে গ্রেপ্তার করা হয়েছে টালা থানার ওসি অভিজিৎ মণ্ডলকেও। শনিবার রাতেই দুজনকে গ্রেপ্তারের খবর প্রকাশ্যে এনেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। ওয়াকিবহাল মহলের মত, জুনিয়র চিকিৎসকদের আন্দোলন এবং মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক নিয়ে জটিলতার মাঝে এই গ্রেপ্তারি অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ।
এর আগে গত সপ্তাহে সন্দীপ ঘোষকে আর জি করে আর্থিক দুর্নীতি সংক্রান্ত মামলায় গ্রেপ্তার করেছিল সিবিআইয়ের দুর্নীতি দমন শাখা। আপাতত তিনি জেল হেফাজতে রয়েছেন। তবে তাঁকে আবারও নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার সম্ভাবনা দেখছিলেন সিবিআই আধিকারিকরা। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার স্পেশাল ক্রাইম ব্রাঞ্চ তাঁকে নিজেদের হেফাজতে নিতে চেয়েছিলেন।
শনিবার সন্ধ্যায় এই সংক্রান্ত তদন্তের জন্য দিল্লির সদর দপ্তর থেকে সিবিআইয়ের জয়েন্ট ডিরেক্টর কলকাতায় এসে পৌঁছন। সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্সে সিবিআই দপ্তরে বৈঠক করেন তাঁরা। এই মুহূর্তে আর জি করের ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনার তদন্ত কোন জায়গায় রয়েছে? কিভাবে সেই তদন্তে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে? কোন পথে এগোবে? তা নিয়েই একটি বৈঠক হয়।
এদিকে টালা থানার ওসি অভিজিৎ মণ্ডলকে সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্সের দপ্তরে দীর্ঘ সময়ের জন্য জেরার পর রাতে গ্রেপ্তার করা হয়। সিবিআইয়ের অভিযোগ, সন্দীপ ঘোষ অথবা পুলিশ আধিকারিকরা সরাসরি ধর্ষণ ও খুনের ঘটনার সঙ্গে যুক্ত নাও হতে পারেন। কিন্তু তথ্য ও প্রমাণ লোপাট এবং ষড়যন্ত্রের ক্ষেত্রে তাদের ভূমিকা রয়েছে। যদি কেউ এই নারকীয় ঘটনার সঙ্গে যুক্ত হয়ে থাকেন, তাকে সন্দীপ ঘোষ আড়াল করেছেন বলে অভিযোগ। নির্যাতিতার দেহ উদ্ধারের ১৪ ঘণ্টা পর কেন, তা জানতে শনিবার রাত পর্যন্ত টালা থানার ওসিকে জেরা করে সিবিআই। এদিন সিবিআইয়ের একটি টিম শিয়ালদহ আদালতে সন্দীপ ঘোষকে নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার জন্য আবেদন জানায়। আদালত সেই আবেদন মঞ্জুর করে। রবিবার প্রেসিডেন্সি জেল থেকে সন্দীপ ঘোষকে শিয়ালদহ আদালতে তোলা হবে। একই সঙ্গে অভিজিৎ মণ্ডলকেও শিয়ালদহ আদালতে তুলবে সিবিআই।