ক্ষীরোদ ভট্টাচার্য: দশ দফার পর এবার ৬ দফা দাবিতে ফের মুখ্যসচিবকে চিঠি লিখলেন জুনিয়র চিকিৎসকরা। মেডিক্যাল কলেজগুলিতে সমস্যার দ্রুত সমাধান, টাস্ক ফোর্সের বৈঠক, সেন্ট্রাল রেফারেল সিস্টেম সর্বত্র চালু এবং সেই সংক্রান্ত তথ্য নিয়মিত দেওয়া-সহ একগুচ্ছ দাবি রয়েছে জুনিয়র ডক্টরস ফ্রন্টের এই চিঠিতে। বৃহস্পতিবার মাঝরাতে ইমেলের মাধ্যমে মুখ্যসচিব মনোজ পন্থকে তা পাঠানো হয়েছে। এনিয়ে অবশ্য এখনও প্রশাসনের তরফে কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি। আন্দোলনকারী চিকিৎসকদের দাবি, স্বাস্থ্যক্ষেত্রে সুরক্ষার জন্য শুধুমাত্র কিছু কমিটি তৈরি করাই যথেষ্ট নয়, তা কতটা সক্রিয় এবং কার্যকর, তাও দেখার দায়িত্ব সরকারের।
আর জি কর কাণ্ডের (RG Kar Incident) পর থেকে হাসপাতাল চত্বরে নিরাপত্তার দাবিতে দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন চলছে জুনিয়র চিকিৎসকদের। দফায় দফায় সরকারি প্রতিনিধিদের সঙ্গে তাঁদের বৈঠক হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীও একাধিকবার তাঁদের সঙ্গে আলোচনায় বসে দাবিদাওয়া শুনেছেন, সমাধানের আশ্বাস দিয়েছেন। তাঁদের দাবি মেনে ১০ দফা দাবির মধ্যে ৭টি ইতিমধ্যে পূরণ করা হয়েছে। শুধুমাত্র জুনিয়র চিকিৎসকদের নিরাপত্তাই নয়, রোগীস্বার্থেও বেশ কিছু দাবি রয়েছে তাঁদের। যার মধ্যে অন্যতম সেন্ট্রাল রেফারেল সিস্টেম। এই পদ্ধতি সব হাসপাতালে চালু করতে হবে বলে এদিনের চিঠিতে উল্লেখ করেছেন জুনিয়র ডাক্তাররা।
মুখ্যসচিব মনোজ পন্থকে লেখা চিঠিতে মোট ৬ দফা দাবি তুলেছেন ওয়েস্ট বেঙ্গল জুনিয়র ডক্টরস ফ্রন্ট। ভূমিকাতেই তাঁরা লিখেছেন যে এসব নিতান্তই পরামর্শ নয়, স্বাস্থ্যক্ষেত্রে তা প্রয়োগ করার প্রয়োজনীয়তার কথা উল্লেখ করেছেন জুনিয়র চিকিৎসকরা। কেন্দ্রীয় রেফারেল সিস্টেমের প্রতিটি খুঁটিনাটি বিষয় জনস্বার্থে ভালোভাবে প্রচার করার দাবি তুলেছেন তাঁরা। স্বচ্ছতার সঙ্গে সমস্ত অভিযোগ খতিয়ে দেখা, বিভিন্ন হাসপাতালে শয্যা সংখ্যা বাড়ানোর কথাও চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে। তাঁদের মতে, রাজ্যের স্বাস্থ্য পরিকাঠামোর উন্নয়নের স্বার্থে এসব এখনই প্রয়োগ করা জরুরি। এনিয়ে মুখ্যসচিবের তরফে ইতিবাচক পদক্ষেপ আশা করেন জুনিয়র চিকিৎসকরা।